অনির্বাণ ভট্টাচার্য , মধুমিতা সরকার এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
ছিপছিপে থাকতে কে না ভালবাসে? ভারী চেহারার জন্যই তো একাধিক ছবি ছাড়তে হয়েছে ঐন্দ্রিলা সেনকে। যার জন্য সদ্য ১৫ কেজি ওজনও ঝরিয়েছেন নায়িকা! একা অঙ্কুশ হাজরার প্রেমিকা নন। গোটা টলিউড কমবেশি একটাই মন্ত্র জপে— যেনতেনপ্রকারেণ রোগা থাকতে হবে। এতে বয়স ত্বকে, শরীরে কম থাবা বসাবে। শরীর সুস্থ থাকবে। জৌলুসও মুঠোবন্দি। ‘টোনড ফিগার’-এর আশায়
বাংলা ছবির তারকারা খাবারের তালিকায় কী কী যোগ করেন? বিয়োগই বা করেন কী কী? শুনলে কিন্তু তাক লেগে যাবে----
প্রথম সারির একটি প্রযোজনা সংস্থার দফতরে রাত দিন তারা ঝিলমিল! প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে মধুমিতা সরকার— সকলের নিত্য আনাগোনা। শ্যুটিংয়ের দ্বিপ্রাহরিক অবসরে মেনুতে কী রাখেন তাঁরা? জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। প্রযোজনা সংস্থার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এক এক তারকার খাওয়ার ধাঁচ এক এক রকম।
মৈনাক ভৌমিকের ‘চিনি’ ছবির শ্যুটের পরে সৌরভ দাস তাঁর নায়িকা মধুমিতার খাওয়া প্রসঙ্গে একটা বড় রহস্য ফাঁস করেছিলেন। ছোট পর্দার ‘পাখি’ বাস্তবেও পাখির মতোই হালকা-পলকা থাকতে ভাত-রুটির মতো শক্ত খাবার নাকি খানই না! তা হলে কী খেয়ে তিনি এত চনমনে? সৌরভের দাবি, মধুমিতাকে সারাক্ষণ জলীয় খাবার খেতে দেখেছেন তিনি। ঘুরেফিরে নায়িকা নাকি ছাতুর সরবত খেতেন! জলীয় খাবার ঝটপট পেট ভরিয়ে দেয়। কিন্তু ওজন বাড়ায় না। আর ছাতুর সরবতে পুষ্টিগুণ প্রচুর। এনার্জি ড্রিঙ্ক হিসেবে তাই বারবার ওটাই খেতেন তিনি। প্রযোজনা সংস্থার দাবি, এর পাশাপাশি চিনি ছাড়া কালো কফিও পছন্দের পানীয় মধুমিতার। সেটাও কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর পান করেন। দুপুরে বা শ্যুটের অবসরে এর বাইরে তিনি কিচ্ছু খান না!
অনির্বাণ ভট্টাচার্য আবার ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। ডাল-ভাত, মাছ বা মাংস, সবজি দিয়ে সাজানো থালিই চাই মেদিনীপুরের ছেলের। প্রযোজনা সংস্থার মতে, অভিনয় হোক বা পরিচালনা, অনেকটা সময় তিনি কাটান এই দফতরে। ফলে, ভরপেট খানাই খেতে হয় তাঁকে। ভাতের সঙ্গে রুটি রাখারও চেষ্টা করেন ‘মন্দার’-এর পরিচালক। যাতে পুষ্টিতে কমতি না থাকে। মনমেজাজ যে দিন ফুরফুরে থাকে, সে দিন অন্য খাবারও চেখে দেখেন। দোসা, স্যান্ডউইচয়েও সে দিন মোটেই আপত্তি থাকে না তাঁর!
টোনড ফিগারও চাই, আবার রসেবশে থাকাও চাই মিমি চক্রবর্তীর। তা হলে পাতে কী পড়লে তিনি খুশি? অন্দরের খবর, তিনি নাকি গ্রিলড যে কোনও খাবার খেতে খুব ভালবাসেন। গ্রিল করা মাছ, মুরগির মাংস— পছন্দের খানা। আর খেতে ভালবাসেন কন্টিনেন্টাল যে কোনও পদ।
সে দিক দিয়ে আবার মধ্যপন্থী পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ভারী খাবার খাবেন না। অথচ পুষ্টিতেও ফাঁক পড়তে দেবেন না। তাঁর বেশি পছন্দ নানা ধরনের স্যান্ডউইচ আর স্যুপ। তাতে মাছ বা মাংস আর প্রচুর সবজি থাকতে হবে। এই সব উপকরণ দিয়ে স্যুপ বানিয়ে দিলেও পরম তৃপ্তি তাঁর!
বাকি রইলেন খোদ টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বয়সের ৬০ সংখ্যাটা তাঁকে দেখে নাকি লজ্জা পায়! কী খেয়ে তিনি চির সবুজ? প্রযোজনা সংস্থার দাবি, বুম্বাদাকে নাকি কিছু খেতেই দেখা যায় না! তবে কি তিনি প্রকৃতির জল-হাওয়াতেই এখনও সতেজ? টলিপাড়ার খবর, ভারী খাবার কদাপি নয়। বাইরের খাবারও নিষিদ্ধ বস্তু তাঁর কাছে। খেলে বাড়ির রান্না খান। তা না হলে? স্রেফ শসা আর টক দই। কখনও একটি ফল। নয়তো ফলের রস!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy