রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি আরজি কর কাণ্ডে মৃতা তরুণী চিকিৎসকের জন্মদিন। দিন কয়েক আগে নির্যাতিতার মা-বাবা অনুরোধ জানিয়েছিলেন, এই দিন যেন শহর কলকাতা তাঁদের মেয়েকে মনে করে আর এক বার পথে নামেন। কথা রেখেছেন শহরবাসী। কলকাতার নানা স্থানে ছোট-বড় নানা জমায়েত দেখা গিয়েছে। নির্যাতিতার জন্মস্থান সোদপুরেও আয়োজন করা হয় নানা কর্মকাণ্ড।
এই ভিড়ে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার কোনও খ্যাতনামী নেই! কোথায় তাঁরা?
গত অগস্টে আরজি কর কাণ্ডের পর রাতদখল বা প্রতিবাদী আন্দোলনে শহরবাসীর সঙ্গে পথে নামতে দেখা গিয়েছিল কিঞ্জল নন্দ, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, বিরসা দাশগুপ্ত, তনিকা বসু, ঋষভ বসু, চৈতি ঘোষাল, দেবলীনা দত্ত-সহ অনেকেই। রবিবার তাঁরা কি আরজি কর হাসপাতাল প্রাঙ্গনে উপস্থিত থাকবেন? আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল প্রত্যেকের সঙ্গে।
এ দিন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের উদ্যোগে সোদপুর মহেন্দ্রনগর উন্নয়ন সমিতির মাঠে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ‘অভয়া ক্লিনিক’ আয়োজিত হয়। অভিনেতা-চিকিৎসক কিঞ্জল সকাল থেকে বিভিন্ন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সেখানে। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সাড়ে ৩০০ জনেরও বেশি রোগী দেখেছি। শুধুই বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া নয়, ওষুধও দেওয়া হয়েছে প্রত্যেককে।” বিকেলে হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে ‘ক্রাই অফ দ্য আওয়ার’-এও যোগ দেবেন। কিঞ্জলের কথায়, “শুরু থেকে এই আন্দোলনে আছি। শেষ পর্যন্ত থাকব।” নির্যাতিতার মৃত্যুর ছ’মাস পার। একমাত্র দোষী সঞ্জয় রায়। এখনও কোনও সাজা ঘোষণা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন তিনি? এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন অভিনেতা-চিকিৎসক।
আরও পড়ুন:
বাকিদের মধ্যে কারা হাসপাতাল চত্বরে আসবেন? এই প্রশ্ন নিয়ে স্বস্তিকা, শোভন, সোহিনী, সুদীপ্তা, বিদীপ্তা, দেবলীনাকে ফোন করা হয়েছিল। কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি। কথা বলেছেন পরিচালক বিরসা, “আমার যোগ দেওয়ার খুবই ইচ্ছে ছিল। কারণ, আন্দোলনের শুরু থেকে আছি। কিন্তু আচমকাই শরীর খারাপ। ফলে, ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারলাম না। তবে মানসিক ভাবে পাশে রয়েছি নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের।” ব্যস্ততার কারণে হাসপাতালের জমায়েতে যোগ দিতে পারবেন না বিদীপ্তা-সুদীপ্তা কেউই— এ কথা জানিয়েছেন তিনিই। তনিকা বসু, ঋষভ বসু— এই আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তাঁদের কি দেখা যাবে হাসপাতাল চত্বরে? ঋষভ শহর থেকে দূরে, বারাণসীতে। তিনিও মানসিক সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। ব্যস্ত তনিকাও। নির্যাতিতার মা-বাবা মেয়ের স্মরণে ফুল গাছ লাগানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই অনুরোধ রক্ষা করবেন ‘চালচিত্র’-এর ‘পুতুল’। জানিয়েছেন, বাড়িতে একটি লাল গোলাপের গাছ পুঁতবেন। সেটি উৎসর্গ করবেন নির্যাতিতাকে।
ব্যস্ত থাকবেন চৈতি-ও। তাই তিনিও জমায়েতে যোগ দিতে পারবেন না। তবে বিচারব্যবস্থার গতি প্রকৃতি নিয়ে তিনিও যথেষ্ট সন্দিহান। তবে তিনি আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি।