রাজ চক্রবর্তী।
ইতিমধ্যেই ডেরেক’ও ব্রায়েনের কাছে রাজনীতির পাঠ নিতে শুরু করেছেন। নির্বাচনী কেন্দ্র কতটা চেনেন? ভোট যুদ্ধে জিততে তাঁর ব্যক্তিগত পরিকল্পনা কী? আনন্দবাজার ডিজিটালের মুখোমুখি ‘পরিণীতা’র পরিচালক।
প্রশ্ন: তবে ছবির পরিচালক এ বার রাজনীতিরও পরিচালক?
রাজ: (হাসি) সকলের ভালবাসা, শুভেচ্ছা পেলে আশা রাখি এই ক্ষেত্রেও সফল হব। ২০১১ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি। প্রচারেও অংশ নিয়েছি। এ বার সকলে বললেন, সামনে এসে কাজ করো। আমিও রাজি। টিকিটও পেলাম।
প্রশ্ন: নির্বাচনী কেন্দ্রকে কতটা চেনেন?
রাজ: হাতের তালুর মতো। জন্মেছি কাঁচড়াপাড়ায়। বড় হয়েছি হালিশহরে। এখনও সেখানে আমার বাড়ি আছে। পড়াশোনা নৈহাটি কলেজে। ব্যারাকপুরের অলিগলি ভীষণ ভাল করে চিনি। ওখানকার মানুষদের খুব কাছ থেকে জানি। বলতে পারেন, আমি ব্যারাকপুরের ভূমিপুত্র। এটাও জানি, ওই অঞ্চলের মানুষদের এত দিন ধরে কী ভাবে চোখ রাঙিয়ে, ভয় দেখিয়ে, পেশির জোরে দাবিয়ে রাখা হত।
প্রশ্ন: ভূমিপুত্রকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে অঞ্চলবাসী খুশি?
রাজ: দারুণ খুশি। ফোনের পর ফোন আসছে। সবাই জানেন, আমি তথাকথিত পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ নই। বরং প্রচুর লড়াই করে তৃণমূল স্তর থেকে বড় হয়েছি। তাই সবাই আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, আশীর্বাদ করছেন।
প্রশ্ন: ব্যারাকপুর তো বিজেপি-র অর্জুন সিংহের খাসতালুক...
রাজ: এই যে বললেন খাসতালুক, এ সব আর চলবে না। আর কারও দখলদারিতে থাকবেন না ব্যারাকপুরের মানুষ। তাঁরা যাঁকে চাইবেন, তিনিই ভোটে জিতে আসবেন। এত দিন এখানে উন্নতির নামে অন্যায় শোষণ চলেছে। এলাকার উন্নয়নের আশায় যাঁদের ভোট দিয়ে সাধারণ মানুষ জিতিয়ে এনেছেন, তাঁরাই দল বদলে অত্যাচার চালিয়েছেন। আমি এলাকাবাসীদের শান্তিপূর্ণ, সুন্দর, সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে চাই।
প্রশ্ন: তার জন্য কী করবেন?
রাজ: আমার প্রধান লক্ষ্যই হল মুখ্যমন্ত্রীর ভাবধারা আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়া। এবং অঞ্চলের উন্নতিসাধন। আমার পেশিশক্তি নেই। বদলে আমার সুস্থ মন, ইতিবাচক মানসিকতা আছে। আমি ভীষণ আবেগপ্রবণ। ভাল কাজের ইচ্ছে ১০০ শতাংশ আছে। আমি এগুলোকেই হাতিয়ার বানিয়ে এগোব।
প্রশ্ন: আবেগ বা ইমোশনে ছবি হিট করাতে পারে। কিন্তু তা নির্বাচনী কৌশল হতে পারে?
রাজ: মানুষের দরজায় দরজায় যাব। সকলের সঙ্গে কথা বলব। অভাব-অভিযোগ শুনব। আমার মতো করে তাঁদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করব। আলোচনার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করব, তাঁরা আমাকে কী ভাবে পাশে পেতে চান। এ ভাবেই আমার আর ভোটারদের অনুভূতি, আবেগ জুড়ে নেব। প্রশ্ন: রাজনীতির পাঠ নিচ্ছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের থেকে। নিজে আলাদা কিছু ভেবেছেন?
রাজ: সময় মতো সকলেই সব দেখতে পাবেন। (হাসি)
প্রশ্ন: বিপরীতে কাকে চান?
রাজ: যিনিই দাঁড়ান, লড়ে নেব। এ টুকু বলতে পারি।
প্রশ্ন: শুভশ্রী কী বলছেন?
রাজ: আমার সব কাজেই পরিবার পাশে থাকে। এই ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। শুভশ্রীও পাশে আছে। আজ বাবা থাকলে খুব খুশি হতেন।
প্রশ্ন: সামনেই গ্রীষ্ম। চড়া রোদে প্রচার চালাতে হবে। পোশাক, খাওয়াদাওয়া নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা?
রাজ: ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও শ্যুটিং করার অভ্যেস আছে। ফলে, এটা কোনও বিষয়ই না আমার কাছে। এটা ঠিক, সুস্থ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বলি, শ্যুটিং বা প্রচারের জন্য নয়, আমি এমনিতেই সুস্থ থাকতে ভালবাসি। প্রচারে বেরোনোর সময় সুতির হালকা পোশাক বাছব। বরাবরই হালকা খাওয়াদাওয়া করি। তেল, মশলাদার খাবার খাই না। প্রচুর জল খাই। সে সব আরও বেশি করে মেনে চলব।
প্রশ্ন: প্রার্থী তালিকা প্রকাশ মানেই ‘লড়াই’ শুরু। বিরোধী শিবিরের প্রিয় অভিনেতাদের কী বলবেন?
রাজ: আগেও বলেছি আবারও বলব, বন্ধুত্বে কোনও বিরোধিতা নেই। মতাদর্শ ভিন্ন হতেই পারে। রাজনীতির মঞ্চ আলাদা হয়েছে হয়তো। কিন্তু কাছের জনেরা কাছেই থেকে যাবেন, আজীবন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy