রাজ ও রুদ্রনীল
বৃহস্পতিবারের ষষ্ঠ দফা নির্বাচনে ‘পাখির চোখ’ ব্যারাকপুরের শাসকদলের প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। সকাল থেকেই নিজের কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রায় সমস্ত বুথ চষে ফেলেছেন তিনি। সেই অনুযায়ী লালকুঠিতেও পৌঁছে গিয়েছিলেন পরিচালক প্রার্থী। অভিযোগ, সেখানেই তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা। ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও দেন তাঁরা।
রাজ চক্রবর্তীর দীর্ঘ দিনের সতীর্থ রুদ্রনীল ঘোষ। পায়ের নীচের মাটি শক্ত করার লড়াইও লড়েছিলেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। যদিও তাঁরা ২ জনেই এখন পরস্পরের বিরোধী পক্ষ। পুরনো বন্ধুকে এই অবস্থায় দেখে কতটা খারাপ লাগছে আর এক ‘বন্ধু’র?
আনন্দবাজার ডিজিটালকে সপাটে এই প্রশ্নের জবাব ফিরিয়ে দিয়েছেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল। তাঁর দাবি, ‘‘নির্বাচনকে ঘিরে এ রকম ছোট ঘটনা ঘটেই। এই নিয়ে মাথা ঘামালে চলে!’’ তার পরেই বিস্ফোরক অভিনেতা-প্রার্থী, কিছু দিন আগেই তাঁকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছিল শাসকদলের সমর্থকেরা। কই, সে দিন শাসকদলের কেউ তো জানতে চাননি রুদ্রনীল কতটা আহত? রুদ্র সরাসরি আঙুল তুলেছেন রাজের দিকেও, ‘‘রাজও সে দিন কিছু বলেননি। ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজ নেননি আমার। পাথরের আঘাতে সে দিন আমার মৃত্যুও হতে পারত।’’
তার পরেই নিজেকে সামলে নিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী। ব্যারাকপুরের প্রার্থীর সমর্থনে বলেছেন, হয়তো দলের কারণে রাজ যোগাযোগ করতে পারেননি রুদ্রর সঙ্গে। পাশাপাশি তিনি বললেন, ‘‘আমাকে পাথর ছুঁড়ে শাসকদল সে দিন বিজেপিকে রাজভোগ খাইয়েছিল। বৃহস্পতিবারে গেরুয়া শিবির ছোট করে মিহিদানা খাইয়ে দিল।’’ বদলার পরিবর্তে বদলা? ‘‘একেবারেই না। সৌজন্যের পরিবর্তে সৌজন্য’’, দাবি রুদ্রনীলের।
একই সঙ্গে তীব্র ব্যঙ্গ তাঁর কথায়, ‘‘তাও ভাগ্যিস মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক আমার চিকিৎসা করে ব্যান্ডেজ বেঁধে দেননি। তা হলে সেই ব্যান্ডেজ ১ বছরের আগে খুলত না!’’ জিতে ফিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসারত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্তের ব্যবস্থা করবেন, এমন হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy