শুরুতে কথাই বলতে চাননি তিনি। আনন্দবাজার ডিজিটালকে সোজা জানিয়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্র, ‘‘রাজ্যে দিকে দিকে বাম দলের ছেলেমেয়েরা মার খাচ্ছে। নিজের দলের বাইরে কাউকে নিয়ে ভাবার মতো মানসিক অবস্থায় নেই।’’ পরে যদিও মুখ খোলেন তিনি।
তথাগত রায় ৩ অভিনেত্রী, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী, পায়েল সরকারকে ‘নগর নটী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। ভোটে পরাজয় এই কটাক্ষের নেপথ্য কারণ। এক জন নারী হিসেবে একই পেশায় যুক্ত অন্য নারীদের এই অবমাননা কী চোখে দেখছেন? প্রশ্ন শেষের আগেই প্রচণ্ড রেগে যান শ্রীলেখা। তিনি বললেন, ‘‘ওরা জানত গেরুয়া শিবির নারীদের কী চোখে দেখে। তার পরেও গিয়েছিল কেন বিজেপিতে যোগ দিতে! নিজেদের অপমানের রাস্তা ওরা নিজেরাই তৈরি করেছে। কাউকে কিচ্ছু বলার নেই।’’ পাশাপাশি দাবি, ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা ছাড়া গেরুয়া শিবির আর কিচ্ছু বোঝে না।
পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে ? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি ?
— Tathagata Roy (@tathagata2) May 4, 2021
সংশোধন : মদন মিত্রর সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন পার্নো মিত্র নয়, তনুশ্রী চক্রবর্তী।
— Tathagata Roy (@tathagata2) May 4, 2021
টুইটে ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপালের আরও অভিযোগ, নির্বাচনের টাকা উড়িয়েছেন অভিনেত্রীরা। মদন মিত্রের সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে নিজস্বী তুলেছেন। এবং হেরে ভূত হয়েছেন।
শ্রীলেখার মতে সিপিএম বরাবর বলে এসেছে, টাকা দিয়ে তারকা প্রার্থী কিনেছে গেরুয়া শিবির। তথাগত রায় রাগের চোটে সেই কথাতেই সিলমোহর দিলেন। তাঁর আশা, এ বার সবার বিশ্বাস হবে।