Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Bollywood Controversy

ঐশ্বর্যার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে সলমনের চড় খেয়েছেন বিবেক, দেখেছেন বলিউডের দলবাজিও!

বলিউডের অন্ধকার দিকগুলির কথা অস্বীকার করতে পারেন না বিবেক। জানালেন, এক বছরের বেশি সময় ঘরে বসে থেকেছেন। কোনও কাজ ছিল না হাতে। সে সময়ই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন।

Vivek Oberoi speaks his heart out on lobbying and bullying in Bollywood industry

বিবেকের মতে, ইন্ডাস্ট্রি খুব নিরাপত্তাহীন একটা জায়গা। শিল্পীরা প্রকৃতিগত ভাবেই একটু স্পর্শকাতর। তাঁদের সহজে আঘাত করা যায়। — ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:৫৩
Share: Save:

বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের রাজনীতি নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত থেকে শুরু করে বিবেক অগ্নিহোত্রী। কেরিয়ার শেষ করে দেওয়ার চক্রান্তের কথা জানিয়েছিলেন অভিনেতা শেখর সুমনও।

এই আবহে উঠে এল প্রায় কুড়ি বছর আগের কথা। ২০০৩ সালের ১ এপ্রিল, এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের কিছু নির্মম সত্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন অভিনেতা বিবেক ওবেরয়। তাঁর দাবি ছিল, ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানতে পেরে অনবরত হুমকি দিয়ে গিয়েছেন সলমন খান। তাঁকে শুটিংয়ের সেটে গিয়ে চড় মেরে আসেন ঐশ্বর্যার প্রাক্তন, এমন অভিযোগও জানান।

সম্প্রতি প্রিয়ঙ্কার কোণঠাসা পরিস্থিতির প্রসঙ্গ তুলেই আরও কিছু কথা বললেন বিবেক। তাঁর কথায়, “আমি খুশি যে, এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। আমি অগ্নিপরীক্ষা দিয়েছিলাম এবং টিকেও গিয়েছিলাম। সবাই আমার মতো ভাগ্যবান নয়। ”

বিবেক আরও বলেন, “এমন কিছু জিনিস আমি বয়ে বেড়াচ্ছি, যেগুলোর কোনও প্রয়োজন ছিল না। অনেক দলবাজি, চেপে যাওয়া গল্প— যার ইঙ্গিত প্রিয়ঙ্কাও দিয়েছে, এগুলোই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির বৈশিষ্ট্য।”

বহু গৌরবের মাঝেও বলিউডের অন্ধকার দিকগুলির কথা অস্বীকার করতে পারেন না বিবেক। জানালেন, এক বছরের বেশি সময় ঘরে বসে থেকেছেন। কোনও কাজ ছিল না হাতে। সেই সময়ই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন বিবেক। তাঁর কথায়, “এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম, যা এগুলোর ঊর্ধ্বে নিয়ে যেতে পারে।” এর পর মানুষকে সাহায্য করার কাজ ও ব্যবসায় মন দেন বিবেক। প্রিয়ঙ্কার কথার মধ্যেও ইতিবাচক বার্তা পেয়েছেন তিনি। বিবেক বলেন, “নতুন পরিসর খুঁজে নেওয়ার কথা ধরলে প্রিয়ঙ্কার বক্তব্যেও প্রেরণার কথা আছে। ও হলিউডে নতুন জায়গা খুঁজে পেয়েছে। ব্যক্তিগত ও পেশাজীবনে ও উপকৃতই হয়েছে।”

অভিনেতা স্বীকার করেন, নানা ধরনের দলাদলি, অসম্মান নতুন প্রতিভার সম্ভাবনাকে অঙ্কুরেই নষ্ট করে দিতে পারে। বিবেকের মতে, ইন্ডাস্ট্রি খুব নিরাপত্তাহীন একটা জায়গা। শিল্পীরা প্রকৃতিগত ভাবেই একটু স্পর্শকাতর। তাঁদের সহজে আঘাত করা যায়। মিটু আন্দোলন হোক বা কাস্টিং কাউচ বা ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের দলবাজি— যা-ই ঘটুক, বিবেক খুশি যে, এগুলো আলোচনায় উঠে আসে এখন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy