(বাঁ দিকে) আদিপুরুষ ছবির পোস্টার। বিবেক অগ্নিহোত্রী (ডান দিকে)। ছবি : সংগৃহীত।
ওম রাউত পরিচালিত ছবি ‘আদিপুরুষ’কে ঘিরে প্রত্যাশা ছিল। হিন্দু মহাকাব্য ‘রামায়ণ’-এর সিনেম্যাটিক সংস্করণ বলে কথা, ছবির জন্য মুখিয়ে ছিলেন দর্শক ও অনুরাগীরা। তবে ছবি দেখে হতাশ হয়েছেন তাঁদের একটা বড় অংশ। ছবিতে সীতার জন্মস্থান, হনুমানের সংলাপ নিয়ে ক্ষুব্ধ দর্শকের একাংশ। ছবিটি নিষিদ্ধ করার জন্য এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামালা দায়ের হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, এত গাফিলতির পরও ছবিটি ছাড়পত্র পেল কী ভাবে? এ বার ‘আদিপুরুষ’ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন’ (সিবিএফসি)-এর সদস্য পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।
বিবেককে প্রশ্ন করা হয়, কেন তাঁরা ‘আদিপুরুষ’ ছবি মুক্তির সময় একাধিক দৃশ্য বা সংলাপ নিয়ে আপত্তি করলেন না? জবাবে পরিচালক বলেন, ‘‘ছাড়পত্রের জন্য আমরা ছবি দেখি না, দেখে সাধারণ দর্শক।’’
এই মুহূর্তে নিজের পরবর্তী ছবি ‘দ্য ভ্যাক্সিন ওয়্যার’ নিয়ে ব্যস্ত। তাই বিবেক জানান, ব্যস্ততার কারণেই আদিপুরুষ ছবিটি দেখে উঠতে পারেননি। তাই জানেন না, ছবিটির কোন পর্যায়ে কী হয়েছিল বা কারা এটি দেখেছিলেন। পাশাপাশি ‘কাশ্মীর ফাইল্স’ পরিচালক বলেন , ‘‘আমি সাধারণত অন্যের নির্মিত ছবি নিয়ে কথা বলি না। এবং অন্যদের বানানো ছবি ভাল না খারাপ, সে ব্যাপারে নিজের মত দিই না।’’
বিবেক নিজের বক্তব্যের শেষে সংযোজন করেন, ‘‘কারও বিশ্বাস নিয়ে কোনও ছবি করতে গেলে অনেক বেশি দায়িত্বশীল ও যত্নবান হতে হয়। কারণ যেখানে বিশ্বাসের কথা ওঠে, সেখানে যুক্তি খাটে না।’’
এ দিকে এলাহাবাদ হাই কোর্টে এই ছবি নিয়ে যে মামলা দায়ের করা হয়, তাঁর শুনানি হয় মঙ্গললবার। সেখানেই সেন্সর বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট। কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই ছবি দেখার পরে যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়নি, এটাই ভাল বিষয়। হনুমান ও সীতাকে ছবিতে যে ভাবে দেখানো হয়েছে, তা সঠিক নয়। এই বিষয়গুলি প্রথমেই বাদ দেওয়া উচিত ছিল। অনেক দৃশ্যই প্রাপ্তবয়স্কদের। তা না থাকাই বাঞ্ছনীয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy