বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
২০২২ সালের মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছিল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’। নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ভূমিচ্যুত করার ঘটনা অবলম্বনে এই ছবি পরিচালনা করেছিলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবির প্রথম ঝলক মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল ওই ছবি। পাশাপাশি, শিরোনামে উঠে এসেছিলেন পরিচালক নিজেও। তবে বিতর্ক বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ছবির বক্স অফিসের ব্যবসার ক্ষেত্রে। বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৩৪০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল বিবেকের এই ছবি। তার প্রায় দেড় বছর পরে নতুন ছবি নিয়ে ফিরেছেন পরিচালক। ২৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে বিবেকের নতুন ছবি ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’। মুক্তির আগে ছবি নিয়ে চর্চা হলেও বক্স অফিসে এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’। তবে এই মাপকাঠিতে ছবির সাফল্য মাপতে নারাজ পরিচালক। কী সাফাই গাইলেন বিবেক?
গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’। এখনও পর্যন্ত সেই ছবির ঝুলিতে এসেছে মাত্র ৫ কোটি টাকা। এ দিকে, বিবেকেরই আগের ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’ প্রথম চার দিনেই উপার্জন করেছিল প্রায় ৪৮ কোটি টাকা। নিজের আগেই ছবির ব্যবসার নিরিখেই বেশ পিছিয়ে পড়েছেন বিবেক। তবে সে কথা মানতে নারাজ তিনি। বিবেকের মতে, ‘‘সাফল্য মানে কী! আপনি কি মনে করেন যত জন ‘প্লেবয়’ ম্যাগাজ়িন কিনবেন, তত জন ‘গীতা’ও কিনবেন? এ ভাবে দুনিয়া চলে নাকি! এখনও পর্যন্ত যাঁরা আমার ছবি দেখেছেন, প্রত্যেকে ছবির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সেটা সাফল্য নয়?’’ মুখে এমন কথা বললেও ছবির ব্যবসার অঙ্ক বাড়াতে প্রায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিবেক। প্রেক্ষাগৃহে বেশি সংখ্যক দর্শক টানতে একটি টিকিট কিনলে আর একটি টিকিট বিনামূল্যে বিক্রি করার কৌশলও অবলম্বন করেছেন তিনি। তার পরেও কি কপাল ফিরবে ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’-এর?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিবেক জানান, ইচ্ছে করেই নাকি ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ নিয়ে আলোচনা থেকে বিরত থেকেছে বলিপাড়া। প্রচার তো দূরের কথা, ছবির সমালোচনা করতেও নাকি বিশেষ উৎসাহ দেখাচ্ছেন না বলিউডের তাবড় ব্যক্তিত্বরা। বিবেক বলেন, ‘‘সবাই ভাবছে, এই ছবিতেও বোধ হয় রাজনীতির ছোঁয়া রয়েছে। আরে, আমার এই ছবিটা তো কোভিডের ছবিও নয়। ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ আদপে সুপারহিরো ফিল্ম। ছবিতে কোনও জায়গায় রোগীদের দেখানো হয়েছে? আমার ছবিতে তো শুধুই বিজ্ঞানীদের দেখিয়েছি আমি।’’ বিবেকের দাবি, নিজের ছবিতে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞানীদের পোশাকে সুপারহিরোদের তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, ‘‘অনেকেই ভেবেছিলেন, ভারতীয়রা কিছুই করতে পারবেন না। কিন্তু ভারতীয় বিজ্ঞানীরাই সবচেয়ে তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন তৈরি করেছিলেন। তাঁরা সত্যিই সুপারহিরো! আর আমার ছবিও সেই সুপারহিরোদের নিয়েই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy