বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।
স্মৃতি হারালেন? নাকি নতুন করে স্মৃতি ফিরে পেলেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়? তিন সময়ে তিন রকমের চেহারা নিয়ে এই সত্যই খুঁজে চলেছেন ‘অবসন্ন’ অভিনেতা! সারা পুজো ধরে চলেছে তাঁর এই খোঁজ। কিন্তু জবাব এখনও অধরা। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, পশ্চিম সিকিমের পাহাড়ি অঞ্চলে চুড়ান্ত ব্যস্ততায় বিক্রমের পুজো কাটবে। এবং কলকাতায় থাকতে পারবেন না বলে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই!
কবে থেকে এমন আমূল বদলে গেলেন অভিনেতা? এবং কেনই বা এতখানি বদলে গেলেন?
কিছুটা পর্দা উঠেছে হিন্দি ছবি ‘মেমরি এক্স’-এর প্রথম পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই। ছবির গল্প অনুযায়ী, একাধিক মানসিক সমস্যা আর জটিল প্রেমের সহাবস্থানেই বেসামাল বিক্রম। তিনিই এই ছবির মুখ্য অভিনেতা। এই ছবির হাত ধরে বলিউডে প্রথম পা রাখতে চলেছেন তিনি। বাকি রহস্য ভেঙেছেন ছবির পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, তাঁর ছবির কাজ করতে গিয়েই গোটা পুজো বাইরে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেতা। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তথাগতর আরও বক্তব্য, ‘‘এর আগে কোনও ধারাবাহিকে আমি আর বিক্রম এক সঙ্গে কাজ করিনি। কিন্তু কাকতালীয় ভাবে 'মেমরি এক্স' আমাদের বলিউড পৌঁছে দিল।’’
ছবিতে বিক্রম ‘অবিনাশ’। যে বিভিন্ন সময়ে একেক জনের কাছে একেক রূপে হাজির হবে। মানসিক সমস্যার পাশাপাশি সে প্রেমেও ব্যর্থ। বিক্রম ছাড়াও ছবির সম্পদ বিনয় পাঠক, স্মৃতি কালরা, শ্রেয়া ভট্টাচার্য প্রমুখের অভিনয়। তথাগতর দাবি, এই প্রথম বিনয় কোনও কমেডি দৃশ্য অভিনয় করেননি। আর বিক্রম চরিত্রের খাতিরে হাঁটা, চলা, কথা বলায় আমূল বদলে ফেলেছেন নিজেকে। তিন ধরনের ‘লুক’-এর জন্য কি প্রস্থেটিক মেকআপ নিয়েছেন বিক্রম? পরিচালক জানিয়েছেন, বিশেষ রূপটান ছাড়াই তিন ভাবে উপস্থিত হবেন বিক্রম। এ ছাড়া, চরিত্রের খাতিরে জোঁক ভর্তি জঙ্গলে খালি পায়ে অভিনয় করতেও দ্বিধা বোধ করেননি তিনি। ছবির সাজসজ্জার দায়িত্ব সামলেছেন দেবলীনা দত্ত মুখোপাধ্যায়। কাহিনি তথাগতর নিজের।
প্রথম হিন্দি ছবিতেই এত ভারী বিষয় কেন বাছলেন ‘ইউনিকর্ন’-এর পরিচালক? হাল্কা হেসে তথাগতর দাবি, ‘‘আমি নিজে শর্ট টার্ম মেমরি লস-এ ভুগি। সাত দিন আগের কথা মনে রাখতে পারি না। প্রেমেও ব্যর্থ। ছবি বানাতে গিয়ে হয়তো আমার কথাই প্রকাশ্যে চলে এসেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy