প্রসেনজিতের কথায় আদিত্যের ছবিতে জুটিতে দেখা যাবে বিক্রম-দিতিপ্রিয়াকে।
গুটি গুটি পায়ে কলকাতায় হাজির শীত। বাংলা ছবির দুনিয়ায় কিন্তু ভরা বসন্ত। প্রায় প্রতি দিনই নতুন ছবির ঘোষণায় সরগরম টলিউড। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন আদিত্য সেনগুপ্ত। শুক্রবার সকালে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, খেয়ালি ঘোষ দস্তিদারের একমাত্র ছেলে এ বার বড় পর্দার জন্য ছবি বানাতে চলেছেন। প্রথম ছবির নতুন জুটি বিক্রম চট্টোপাধ্যায়-দিতিপ্রিয়া রায়। আনন্দবাজার অনলাইনকে আদিত্য জানিয়েছেন, নাম না হওয়া এই ছবিতে ‘রোড ট্রিপ’ আর বন্ধুত্ব পর্দা ভাগাভাগি করে নেবে। এ-ও বলেছেন, তাঁর আগামী ছবি হয়তো হবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েই।
ছবির দুনিয়ায় আদিত্য এসেছিলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রজাপতি বিস্কুট’-এর হাত ধরে। বিদেশে অভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ইতিমধ্যেই জি বাংলার জন্য ছবি ‘শেষ মেস’ বানিয়েছেন। তাঁর ছোট ছবি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত। টলিউডের ‘অভিভাবক’ তাই তাঁর আদরের ‘বুশকা’র প্রথম ছবির কথা ঘোষণা করে দারুণ খুশি।
প্রথম ছবিতে কী বার্তা দিতে চলেছেন নবীন পরিচালক? আদিত্যের কথায়, একাধিক বিষয়ে এই প্রজন্মের দ্বিধা রয়েছে। যেমন, বন্ধুত্ব। অনেক সময়েই প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে অকালমৃত্যু ঘটে বন্ধুত্বের। কারণ, সকলেই মনে করে, বন্ধুরা তো আছেই। আমার ছবিতে বন্ধুত্বের সেই ‘অকালমৃত্যু’ রোখার ভাবনা । প্রথম ছবিতে খুব কম চরিত্র নিয়েই কাজ করবেন আদিত্য। বাকি অভিনেতাদের নাম এখনও ঠিক হয়নি। তবে ছবির মুখ্য অভিনেতা বিক্রম জানিয়েছেন, খুব সহজ গল্প বলতে চলেছেন তাঁর বন্ধু পরিচালক। যা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া দর্শকের ভাল লাগবে।
এই প্রথম ছোট পর্দার রানিমার সঙ্গে তিনি এক ফ্রেমে। সঙ্গে সঙ্গে বিক্রমের রসিকতা, ‘‘ঠিক করেছি, রোজ ওকে প্রণাম করে কাজ শুরু করব!’’ তার পরেই সংযত অভিনেতা। তাঁর দাবি, বহু দিন ধরেই দিতিপ্রিয়াকে চেনেন তিনি। আশা করছেন, সেই বন্ধুত্ব এ বার পর্দায় ঝলমলিয়ে উঠবে। বিক্রম নিজে বেড়াতে খুব ভালবাসেন। সুযোগ পেলেই তাঁকে দেখা যায় পাহাড়ি পথের বাঁকে। তাঁর আগামী ছবি রোড ট্রিপের... কথা ফুরনোর আগেই অভিনেতা বলে উঠলেন, ‘‘সদ্য তথাগত মুখোপাধ্যায়ের ছবি শেষ করলাম। তার শ্যুট হয়েছে সিকিমে। এই ছবির শ্যুটও শুনেছি পাহাড়ি এলাকাতেই হবে। ভীষণ ভাগ্যবান মনে হচ্ছে নিজেকে।’’
বিক্রম-দিতিপ্রিয়ার সহজ বন্ধুত্বকেই ক্যামেরাবন্দি করতে চাইছেন আদিত্য। তাঁর যুক্তি, ‘‘স্কুল-কলেজের দু’ক্লাস উঁচুতে পড়া দাদা বা দিদি একটা সময়ের পর সমবয়সি বন্ধু হয়ে যায়। আমার ছবি সেই সব স্তর ছুঁয়ে যাবে’’। আদিত্য-খেয়া চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধুত্বও নাকি অনেকটা সে রকম। তার ছায়াতেই কি এ ছবি তৈরি? পরিচালক অকপটে জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের বন্ধুত্ব নিয়ে অন্য ছবি বানাব। এই ছবিতে তার ছায়া নেই।’’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে ছবির ঘোষণা অবশ্যই বাড়তি চমক। বড় পর্দায় প্রথম পরিচালনা বলেই কি ‘ইন্ডাস্ট্রি’র শরণ নিলেন আদিত্য? এ বারেও পরিচালকের সহজ জবাব— ‘‘বুম্বা মামা আমার শিক্ষকস্থানীয়। তাই ওঁর আশীর্বাদ নেওয়া জরুরি ছিল। সেটা এ ভাবেই নিলাম।’’ বুম্বাদাকে পরিচালনা করার ইচ্ছে আছে? তখনই মনের ইচ্ছে মুখ ফুটে বলে ফেললেন আদিত্য। তাঁর কয়েকটি চিত্রনাট্য প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েই তৈরি। হয়তো আগামী ছবিতে তাঁকেই কেন্দ্রে রেখে ছবি পরিচালনা করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy