অঙ্কিতা লোখন্ডে, রঞ্জনা জৈন এবং ভিকি জৈন। ছবি: সংগৃহীত।
তিন মাসের লড়াই শেষ। ভেবেছিলেন বিজয়ী হয়ে ফিরবেন ‘বিগ বস্’-এর ঘর থেকে। নাহ্, ট্রফি জেতা অধরাই রইল অঙ্কিতা লোখন্ডে ও তাঁর স্বামী ভিকি জৈনের। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে রিয়্যালিটি শোয়ে প্রবেশ করলেও, ক্রমে হয়ে উঠলেন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। ‘বিগ বস্’ জেতার অন্যতম শর্ত হল সারা ক্ষণ চর্চায় থাকা। অঙ্কিতা সেটা ভাল করেই বুঝে গিয়েছিলেন। তাই সব রকম কৌশলে নজরে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন তিনি। ভিকিকে প্রকাশ্যে অপমান করা থেকে অন্যের স্বামীর চরিত্রে কাদা ছেটানো— কিছুই বাদ রাখেননি তিনি। ছেলে কয়লাখনির মালিক। ৫০ কোটির ফ্ল্যাটে রেখেছেন স্ত্রীকে। তার পরেও স্বামীর প্রতি এমন ব্যবহারে বার বার আপত্তি জানান অঙ্কিতার শাশুড়ি। ভিকির মা ‘বিগ বস্’-এর ঘরের ভিতরে তো বটেই, বাইরে বেরিয়েও বৌমাকে নিয়ে একগুচ্ছ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। ‘বিগ বস্’-এর খেলায় ভিকি-অঙ্কিতা যত না ভাইরাল হতে পেরেছেন, তার থেকে বেশি চর্চায় ছিলেন অভিনেত্রীর শাশুড়ি। মাঝে মধ্যে স্বয়ং সলমন খানের রোষের মুখে পড়েন ভিকির মা। অবশেষে ঘর থেকে বেরিয়ে মায়ের ব্যবহার নিয়ে মুখ খুললেন ভিকি।
এমনিতেই অঙ্কিতার উপর রুষ্ট হয়েছেন ভিকির মা। এ দিকে নেটাগরিকদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে গোটা জৈন পরিবারকে। এ বার সেই ভাবমূর্তিতে সামাল দিতে এগিয়ে আসেন ভিকি। ‘বিগ বস্’-এর ঘরে দু’জনের সাপে-নেউলে সম্পর্ক হলেও বাড়ি ফিরতেই বদলে গেল ছবি। অঙ্কিতার হাতে হাত রেখে কেক কাটছেন ভিকি। শুধু তা-ই নয়, একে অপরকে খাইয়ে দিচ্ছেন কেকের টুকরো। অঙ্কিতাকে নিয়ে লোখন্ডে পরিবার ও জৈন পরিবার যে গর্বিত, সে কথাও জানান ভিকি। তবে সমাজমাধ্যমে ক্রমাগত তাঁর মা রঞ্জনা জৈনকে নিয়ে যে পরিমাণ হাসাহাসি হয়েছে, সেই হাওয়া ঘোরাতেই পরিবারে পাশে দাঁড়ালেন ভিকি। তিনি বলেন, ‘‘আসলে আমার বাড়ির লোকেরা জানেন না বড় শহরের আদপ-কায়দা। টিভির পর্দায় যা দেখানো হয়েছে তাতেই বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন। আমার পরিবারের লোকেরা আমাদের সঙ্গে সে ভাবে থাকেননি। তাই আমাদের দু’জনের সমীকরণ নিয়ে অনেক কিছুই জানেন না। অঙ্কিতার মা যেহেতু আমাদের ঝগড়া-অশান্তি দেখেছেন, তাই তাঁর কাছে স্বাভাবিক ঠেকেছে। আমার পরিবারের কাছে নয়।’’
একা ভিকির মা নন, অভিনেত্রীর প্রতি ভিকির দুর্ব্যবহারের জন্য সমালোচিত হন শিল্পপতি নিজেও। নিজের হয়ে ভিকির সাফাই, ব্যবসা ছেড়ে শুধু শোয়ের জন্য তিন মাসের বিরতি নিয়ে এসেছিলেন। তাই খেলাতেই মনোযোগ দিতে চেয়েছিলেন। তবে সে দিকটা দেখতে গিয়ে অঙ্কিতার দিকটা অবহেলা করে ফেলেছেন। আরও ভাল ভাবে সব দিক সামলাতে পারতেন বলেই আক্ষেপ অঙ্কিতার স্বামীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy