(বাঁ দিকে) হরনাথ চক্রবর্তী, মদন মিত্র (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলা সিনেমায় মদন মিত্র। খবর ছড়াতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। হাসিঠাট্টা চলছেই। তৃণমূল বিধায়ককে সিনেমায় আনার নেপথ্যে রয়েছেন টলিপাড়ার বর্ষীয়ান পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। এত রসিকতা শুনে কী মনে হচ্ছে পরিচালকের?
হরনাথের ‘ওহ্ লাভলি’ ছবিটি নতুন প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে তৈরি। পরিচালক জানালেন, সাম্প্রতিক অতীতে তরুণদের মধ্যে মদন মিত্রের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘একটা অনুষ্ঠানে ওঁর সঙ্গে দেখা হয় এবং ওঁকে প্রস্তাব দিই। উনিও রাজি হন।’’ অবশ্য রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে নিয়ে হরনাথ এর আগেও ছবি করেছেন। বললেন, ‘‘২০০০ সালে তৎকালীন দমকল মন্ত্রী প্রতিম চট্টোপাধ্যায়কে আমার ছবিতে অভিনয় করাই। উনি তো আমার অনেক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।’’ হরনাথের মতে, তাঁর ছবিতে সমাজের একাধিক পরিচিত ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়াররা অভিনয় করেছেন। তাই সমালোচনাকে তিনি পাত্তা দিতে নারাজ।
তবে তারকা রাজনীতিক থাকলে যে ছবির প্রতি দর্শকদের একটা আলাদা উৎসাহ থাকে, সে কথা অস্বীকার করছেন না ‘সাথী’ ছবির পরিচালক। বললেন, ‘‘মদনদা রাজি হওয়ার পর ওঁর মুখের জনপ্রিয় শব্দবন্ধকে মাথায় রেখেই ছবির নাম ঠিক করি।’’
‘হরনাথ চক্রবর্তীর জন্য আগামী বছর মদন মিত্র মহানায়ক সম্মান পাবেন!’— সমাজমাধ্যমে এ হেন মন্তব্য চোখে পড়ছে। অবশ্য কোনও কটু মন্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ পরিচালক। হরনাথ বললেন, ‘‘বিদ্যাসাগর থেকে বিধানচন্দ্র রায়— সমাজ কাউকে গালাগাল করতে ছাড়েনি। তাই ট্রোলিং হবে। আমি ইতিবাচক দিক থেকেই আমার ছবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’’ হরনাথের বিশ্বাস যাঁরা মদন মিত্রকে নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছেন, দেখার পর ছবিটা কতটা ভাল, তা তাঁরা উপলব্ধি করবেন। তবে মুখে কী বলবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান হরনাথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy