এত বছরের দাম্পত্যজীবনের পরেও নাকি মাঝেমাঝেই ঝগড়া বাধে দুই তারকার মধ্যে। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের নামজাদা ও জনপ্রিয় জুটির মধ্যে অন্যতম জাভেদ আখতার ও শাবানা আজ়মি। ১৯৮৪ সালে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। তার পর গত প্রায় চার দশক ধরে একে অপরের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তাঁরা। আনন্দে, বিষণ্ণতায় পাশে থেকেছেন একে অপরের। তবে, এত বছরের দাম্পত্যজীবনের পরেও নাকি মাঝেমাঝেই ঝগড়া বাধে দুই তারকার মধ্যে। সেই ঝগড়া মাঝেমাঝে এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, জাভেদকে নাকি খুনও করে ফেলতে চান শাবানা। কী ভাবে সেই কাজ করা থেকে নিজেকে আটকান বর্ষীয়ান অভিনেত্রী? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খোলসা করলেন শাবানা নিজেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর ও জাভেদের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন করলে শাবানা জানান, তাঁর ও জাভেদের সম্পর্কের ভিত্তি তাঁদের দু’জনের বন্ধুত্ব। শাবানা বলেন, ‘‘আমার মধ্যে কোনও দিনই সেই প্রেম-প্রেম ভাবটা ছিল না। এখনকার প্রজন্মের মেয়েদের বিষয়টা আলাদা। তবে, আমাদের সময়ে মেয়েরা নিজেদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বেশ ওয়াকিবহাল ছিল। গল্পের বই থেকে শুরু করে রূপকথার গল্প, সবেতেই প্রেমের ছোঁয়া থাকত তখন। আমি যে হেতু আমার মা-বাবার সম্পর্কের সমীকরণটা দেখেছি, যেটা প্রেম থেকে শুরু হয়ে ভীষণ ভাল বন্ধুত্বে পরিণত হয়েছিল— আমি বন্ধুত্বকেই বেশি গুরুত্ব দিই।’’ শাবানা আরও বলেন, ‘‘জাভেদ আর আমার মধ্যে তো ভীষণ ঝগড়া হয়। এমনকি, মাঝেমধ্যে তো আমরা একে অপরকে খুন করে ফেলতে চাই। কিন্তু দিনের শেষে আমাদের বন্ধুত্বই আমাদের বাঁচায়। কারণ আমরা একে অপরকে শ্রদ্ধা করি। সেটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দুনিয়া দেখি।’’ শাবানার কথায়, ‘‘আমার এমন মা-বাবার সন্তান যে, আমাদের দেখাশোনা করেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। আমাদের দু’জনের বাবা কবি, দু’জনেরই মধ্যে কমিউনিজ়মের প্রভাব আছে, দু’জনেই হিন্দি ছবির গীতিকার ছিলেন। তাই আমাদের দু’জনের মধ্যে অনেক মিল আছে। আমাদের বন্ধুত্বটাও তাই বেশ গাঢ়।’’ শাবানার মতে, ‘‘জাভেদ তো এটা বলতেই ভালবাসে যে, আমি ওর সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। আর সত্যিই তো, আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা এতটাই পোক্ত যে বিয়েও সেটা নষ্ট করতে পারেনি।’’
তা হলে একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া হলে মীমাংসা করেন কী ভাবে? উত্তরে শাবানা বলেন, “খুব সহজ নিয়ম। এক জন চুপ করে গিয়ে অন্য জনকে থামতে বলি।” শাবানার দাবি, পরস্পরের প্রতি তাঁদের যে সম্মান, তা-ই তাঁদের এত বছরের সম্পর্কের রসায়নের নেপথ্যে মূলমন্ত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy