তসলিমা নাসরিন।
প্রেমজীবনেও সমাজের তোয়াক্কা করেননি তসলিমা নাসরিন! যেমন হুড়মুড়িয়ে প্রেমে পড়েছেন। তেমনই অবাধ যৌনতাতেও মেতেছেন ইচ্ছেমতো। নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করেছেন পৃথিবীর সব চাইতে মহার্ঘ্য এই অনুভূতির কাছে। সেখানেও জিতে গিয়েছিল তাঁর সাহসিকতা। ‘রোজ ডে’, ‘প্রপোজ ডে’, ‘চকোলেট ডে’, ‘টেডি ডে’ পেরিয়ে শুক্রবার ‘প্রমিস ডে’। এ দিন গভীর রাতে লেখিকা আবারও সরব তাঁর ফেসবুকের পাতায়। কী ভাবে ছক ভাঙা পথে হেঁটে প্রেমে মগ্ন ছিলেন তিনি? ২০১৬-র একটি পোস্ট অনুরাগীদের সামনে এনে জানিয়েছেন একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতিও।
লেখিকার কলম বলছে, ‘তিরিশ বছর আগে আমি আমার প্রেমিককে রাস্তায়, রেস্তোরাঁয় চুমু খেয়েছিলাম বাংলাদেশের মতো দেশে।’ আর? ইউরোপের দেশগুলোয় হাটে মাঠে ঘাটে ইউরোপীয় প্রেমিককে তো চুমু খেয়েইছেন। ঘোর পূর্ণিমা-রাতে যৌনতায় মেতেছেন নির্জন সমুদ্রপাড়ে! যৌন জীবন যাপন করেছেন চাঁদের আলোয় স্নান করতে থাকা নিবিড় অরণ্যে। কারণ, তাঁর কাছে যৌনতা সব সময়ই খুব সুন্দর। নারী-পুরুষ, নারী-নারী, পুরুষ-পুরুষ, ট্রান্সজেন্ডার, কুইয়ার নির্বিশেষে।
তার পরেই তসলিমার হাল্কা ক্ষোভ। তাঁর দাবি, পশুদের থেকে সভ্য দুনিয়ার শেখা উচিত কী ভাবে যৌনতার উদযাপন করতে হয়! লেখিকা বিস্মিত, আমি বুঝি না, বাইরে জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে পৃথিবী, আর মানুষ কি না চারদেয়ালের ভেতর দরজায় খিল এঁটে সঙ্গম করে। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে গিয়েছে, আর কত দূরে সরবে! একই সঙ্গে আক্ষেপ তাঁর, মানুষগুলো দিন দিন দু’পেয়ে যন্ত্র মানব হয়ে উঠছে। সঙ্গমগুলোও যেন আর সঙ্গম নেই! সব যেন ধর্ষণ হয়ে উঠছে। ভালবাসাও হয়ে উঠছে ঈর্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy