ঊষসী চক্রবর্তী
মৃত্যুর পর মানুষ প্রকৃতির মধ্যে বিলীন হয়ে যায়, ছোট থেকে এটাই জেনেছেন শ্রীময়ী ধারাবাহিকের ‘জুন আন্টি’ ওরফে ঊষসী চক্রবর্তী। ৬ অগস্ট, বাবা শ্যামল চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন সেই ভাবনায় বদল আনার সাধ জেগেছিল তাঁর মনে। সে দিন তাঁর সামাজিক পাতায় তিনি লিখেছিলেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন মৃত্যুর পরেও কোনও ভাবে মানুষ রয়ে যান, দূর থেকে দেখতে পান সব কিছু, তাঁদের মতো করে ভাবতে ইচ্ছে করছে একটা দিন।
৯ অগস্ট আরও একটি পোস্ট ঊষসীর। লিখেছেন, ‘কাকতালীয় ভাবে আমি আমার বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেই ডক্টরেট ডিগ্রি হাতে পেলাম’! আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘জানি, বাবা কোথাও নেই। এই ঘটনার পরে খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে, বাবা আমায় ছেড়ে যাননি।’’
শ্যামল চক্রবর্তী আন্তরিক ভাবে চাইতেন, তাঁর মেয়ে পিএইচডি শেষ করুন। ঊষসীর কথায়, ‘‘তিনি সারাক্ষণ গবেষণা পত্র জমা দেওয়ার তারিখ নিয়ে জানতে চাইতেন। তাড়াও দিতেন। তখন বুঝিনি, আসলে বাবার চলে যাওয়ার তাড়া ছিল!’’ ৬ অগস্ট ডিগ্রির শংসাপত্র হাতে নিয়ে পর্দার ‘জুন আন্টি’ তাই একই সঙ্গে বিস্মিত, ব্যথিত। তাঁর দাবি, পুরোটাই যেন জাদুস্পর্শে ঘটে গেল! তাঁর আরও আফসোস, অতিমারির কারণে আনুষ্ঠানিক ভাবে ডিগ্রি নেওয়া, ছবি তোলা হল না। আপাতত ডিগ্রির শংসাপত্র হাতে পেয়ে তিনি তৃপ্ত। সেই দৃশ্য ভিডিয়ো আকারে ভাগ করে নিয়েছেন সামাজিক পাতায়।
‘জুন আন্টি’-র এই খবরে খুশি তাঁর ভক্তরা। মন্তব্য বিভাগ তার প্রমাণ। সবাই মন খুলে বাহবা জানিয়েছেন তাঁকে। 'শ্রীময়ী' ধারাবাহিকে এই মুহূর্তে তিনি জেলে। প্রযোজক রানা সরকার তাই নিয়েও রসিকতা করেছেন। শিরোনাম আকারে লিখেছেন, ‘জেল থেকে জুন ডক্টরেট হলেন...উত্তাল নেটদুনিয়া’। আগামী দিনে কোন পরিচয়কে এগিয়ে রাখবেন ঊষসী? ‘‘দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি অভিনেতা, এটাই আমার প্রাথমিক পরিচয়’’, সাফ জবাব শ্যামল-কন্যার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy