‘জুন আন্টি’র মুখ বাঁকানো দেখেছেন। ‘জুন আন্টি’র বাঁধভাঙা হাসি দেখেছেন?
যে হাসির উষ্ণতায় যখন তখন গলতে রাজি পুরুষ হৃদয়! শুক্রবার নেটমাধ্যমে তেমনই এক হাসিমুখের ছবি দিয়েছেন ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের জনপ্রিয় খলনায়িকা। যা দেখে মাতাল কয়েক হাজার নেটাগরিক।
কপালে ছোট্ট লাল টিপ। খোলা চুলে আক্ষরিক অর্থেই মোহময়ী সে। মন্তব্য বিভাগ উপচে প্রশংসার ঢেউ, ‘হাসিতে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত’। প্রশ্নও উঠেছে, এই রূপ, এই হাসিতেই কি বধ হয়েছিল শ্রীময়ীর স্বামী অনিন্দ্য?
মুখে কোনও জবাব না দিয়ে ছবির পাশে তখনই ‘জুন’ ওরফে ঊষসী চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘হাসিতে আসিও না’!
আনন্দবাজার অনলাইন উষসীর কাছে প্রশ্ন রেখেছিল, এমন সাবধানবাণী কেন বললেন তিনি? মুঠোফোনে হাসতে হাসতেই রসিকতা তাঁর, ‘‘অনুরাগীদের মন ভাল করতে’’। তার পরেই তাঁর বিস্তারিত বিশ্লেষণ, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়-রুমা গুহঠাকুরতা অভিনীত ১৯৬৭ সালের ছবি ’৮০-তে আসিও না’-র অনুকরণে ছবির বিবরণ লিখেছেন। নিজের ছবি দিয়ে আদতে রসিকতায় মাততে চেয়েছেন অভিনেত্রী। অতিমারিতে সবাই যখন শঙ্কিত তখনই ঊষসী মন ভাল করার অব্যর্থ দাওয়াই ‘হাসি’ নিয়ে হাজির। একই সঙ্গে স্মৃতির পাতাও উল্টেছেন ঊষসী। জানিয়েছেন, ‘‘আমার আর চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের এই ছবি একটি ক্যুইজ রিয়্যালিটি শো-এর। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালনা করতেন। খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল শো। এটা তার থেকেই নেওয়া।’’ এ দিকে দর্শকেরা ‘জুন আন্টি’র বিরহে আকুল! কেউ বলছেন, ‘অনিন্দ্য যে মরতে বসেছে। আর কত দিন জেলে বসে কাটাবে জুন’? কেউ অবাক, ‘শ্রীময়ীর এত সুখ কী করে চুপ করে বসে দেখছে সে’! ‘জুন’-এর কী জবাব?
হাসির মতোই কথাতেও রহস্য জিইয়ে রাখলেন অভিনেত্রী, সব জানেন চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। একটু ধৈর্য ধরলে দর্শকেরাও নাকি সব জানতে পারবেন।