জীবনের কথা বললেন ঊর্বশী।
ইন্ড্রাস্ট্রিতে জনপ্রিয় মহিলা নেতিবাচক (নেগেটিভ) চরিত্র বললেই তাঁর নাম উঠে আসে। ঊর্বশী ঢোলাকিয়া। একতা কপূরের ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’ ধারাবাহিকের কমলিকা বসু। কমলিকার চরিত্র আজও দর্শকের মনে রয়ে গিয়েছে।
পর্দায় কমলিকা সব সময়ই পরিকল্পনা করতেন অন্যের জীবনের শান্তি ছিনিয়ে নেওয়ার। কমলিকার বাস্তব জীবন কিন্তু পুরো উল্টো। যন্ত্রণাদায়ক। খুব কষ্টে উপার্জন করে সংসার চালিয়েছিলেন তিনি। স্কুলে পড়ার সময়ে নিজের যমজ সন্তানদের মানুষ করতে পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে!
১৯৯৩ সালে ‘দেখ ভাই দেখ’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সময় থেকেই এক ব্যক্তির প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করেছিলেন তিনি। বাড়ির অমতে ১৬ বছর বয়সে তাঁকে বিয়ে করেন ঊর্বশী। কিন্তু বিয়ের পর তাঁর উপর যে মানসিক নির্যাতন চলত, তা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারতেন না অভিনেত্রী। এই পরিস্থিতির মধ্যেই মাত্র ১৭ বছর বয়সে ঊর্বশী যমজ সন্তানের জন্ম দেন।
আর তার এক বছরের মধ্যেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত। ঊর্বশী তখন মাত্র ১৮ বছরের কিশোরী। এই বয়সে সন্তানরা পুরোদস্তুর মা-বাবার উপর নির্ভরশীল থাকে সাধারণত। অথচ ঊর্বশীর ঘাড়েই তখন দুই সন্তানের দায়িত্ব। মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, " ওই কঠিন সময় ভুলতে পারি না। মাত্র আঠেরো বছর বয়স থেকেই একা মা আমি। দুই ছেলে সাগর আর ক্ষিতীশকে মানুষ করতে হয়েছে।" লড়াইয়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। " তখন ছেলেদের পড়াশোনার জন্য ১৫০০ টাকাও ছিল না আমার কাছে! কী করব বুঝতে পারতাম না। ওই ভয়াবহ দিনের মধ্যেই নিজের জীবনীশক্তি হারাইনি" বাস্তব জানিয়েছেন 'নাগিন ৬'-এর অভিনেত্রী।
অনুরাগীদের জন্যই নিজের লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন তিনি। মনে করেন তাঁর যুদ্ধ অন্য কোনও মানুষকেও অনুপ্রাণিত করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy