ঊর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল নিয়ে একটি ভিডিয়োয় নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন ঊর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে ‘অ্যাংরি দিদি’। গত মঙ্গলবার পোস্ট হওয়া মাত্র ২ মিনিটের সেই ভিডিয়োকে ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। নিরন্তর কটাক্ষ, অভিযোগ ধেয়ে আসছে ঊর্ণার দিকে।
বিতর্ক এটাই, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ কি যুক্তিযুক্ত হয়েছে? ভিডিয়োর শুরুতে ঊর্ণা প্রশ্ন তুলেছেন, মাধ্যমিকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় ৭৯ জন ছাত্রছাত্রী কী ভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেলেন। নেটাগরিকদের একাংশের অভিমত, করোনা আবহে ছাত্রছাত্রীদের ‘অসহায়তা’ নিয়ে ঠাট্টা করে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াচ্ছেন ঊর্ণা। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেছেন, “পুরো বিষয়টাই আমি মজা করে বলেছিলাম। মানুষজন যে বিষয়টা এত কঠিন ভাবে নেবে, আমি সেটা বুঝতে পারিনি।”
এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাই ভবিষ্যতে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে পেশাগত জগতে ভুল কাজ করবেন, ভিডিয়োয় এমনই দাবি করেছিলেন ঊর্ণা। এর পরে অনেকে পাল্টা যুক্তি রেখেছিলেন, চিকিৎসক বা ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে জয়েন্ট এন্ট্রান্সে উত্তীর্ণ হতে হয়। এই প্রসঙ্গে ঊর্ণার যুক্তি, “মানুষের কি সত্যি মনে হয়, আমি এই পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে জানি না? দু’মিনিটের একটা ছোট্ট ভিডিয়োয় কি এত কথা বলা সম্ভব?”
ভিডিয়োর একদম শেষ অংশে রাজ কুন্দ্রার প্রসঙ্গ টেনেছিলেন ঊর্ণা। বলেছিলেন, “আমার তো মনে হয় রাজ কুন্দ্রাও এ ভাবেই পাশ করেছিল। তাই ওকে এ ভাবে টাকা উপার্জন করতে হচ্ছে।” বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরতেই এই মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি ছাত্রছাত্রীদের ছোট করতে চাইনি। কোনও নির্দিষ্ট বোর্ডকেও নিশানা করতে চাইনি। কিন্তু আমাদের রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার দুরবস্থাকে তুলে ধরতেই ওই মন্তব্যটি আমি করেছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy