প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
গত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ৩০তম উৎসবের জাঁকজমক আরও বড় আকারে হতে পারে। এই ঘোষণা নিঃসন্দেহে উৎসবের প্রতি সিনেপ্রেমীদের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছিল। সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছে, এ বছর চেয়ারপার্সন অর্থাৎ সভাপতি পদে আর থাকছেন না রাজ চক্রবর্তী। বদলে সেই পদে দেখা যেতে পারে পরিচালক গৌতম ঘোষকে। হালফিলের খবর, চেয়ারপার্সনের সঙ্গে এ বছর বদলে যেতে পারেন কো-চেয়ারপার্সন অর্থাৎ সহ-সভাপতিও। সেখানে নাম উঠে এসেছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। খবর যাচাই করতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল তাঁর সঙ্গে। প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
গত বছর থেকেই রাজ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তিনি টানা পাঁচ বছর ধরে চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারপার্সন। তাঁকে এ বার অব্যাহতি দেওয়া হোক। এ প্রসঙ্গে তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমি ছাড়া আরও অনেকে রয়েছেন, যাঁরা এই উৎসবকে আরও সফল করে তুলতে পারবেন। তাঁদেরও সুযোগ পাওয়া উচিত। ক্ষমতা কুক্ষিগত করায় বিশ্বাসী নই।” তবে রাজ জানান, চেয়ারপার্সন না থাকলেও তিনি আগের মতোই উৎসবের জন্য সব রকম সহযোগিতা করবেন। এর পরেই যে প্রশ্ন উঠে আসে সেটা, রাজের দায়িত্ব তা হলে সামলাবেন কে? তখনই জানা যায় গৌতম ঘোষের নাম। কারণ, তিনি চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত। সহ-সভাপতি হিসাবে নাকি প্রসেনজিৎ থাকবেন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই তা মনে করছেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে এই নাম ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ বছর উৎসব শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর। চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যে সব পরিচালক, প্রযোজক ছবি উৎসবে দেখাতে চান, প্রতিযোগিতা বিভাগে যোগ দিতে চান, তাঁদের পরিচালিত-প্রযোজিত ছবি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ অগস্ট। ১৫ নভেম্বর নির্বাচিত ছবির নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে। এ বছরেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতা, এশিয়ান সিলেকশন, বাংলা প্যানোরামা, রেট্রোস্পেকটিভ, সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তৃতা, মাস্টারক্লাস-সহ চেনা বিভাগ থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy