টুইঙ্কলের অটো সফরে উঠে এল এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। ছবি: সংগৃহীত
মেয়ে নিতারাকে নিয়ে ইংল্যান্ড পাড়ি দেবেন টুইঙ্কল খন্না। তার আগে শহর ঘুরলেন মা-বেটিতে। কিন্তু গাড়িতে নয়, একেবারে মুম্বইয়ের কায়দায় অটো করে শহরে ঘুরে বেড়ালেন তাঁরা। তবে অটোর প্রতি তাঁর এই অনুরাগ নতুন কিছু নয়। কৈশোর থেকেই অটোয় চেপে শহর ঘুরতে বেজায় ভালবাসতেন। বন্ধুরা ভালবেসে নাম দিয়েছিলেন ‘রিকশারানি’। কিন্তু এক বার অটোয় চেপে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয় অক্ষয়-ঘরনিকে। অটোচালকের বসার সিটের নীচে রাখা ছিল একটি কসাইয়ের ছুরি!
টুইঙ্কল এমনই হাসিখুশি। তাঁর রসবোধের তারিফ করেন বলিউডের অনেকেই। কৌশোর এমনই এক অটোসফরে বেরিয়েছিলেন টুইঙ্কল। তাঁর স্বভাব, সকলের সঙ্গেই সহজেই খোশগল্পে মেতে উঠতে পারেন। সে বারও ঠিক তেমনটাই করেছিলেন তিনি। অটোচালকের সঙ্গে কথোপকথন শুরু হয় তাঁর। কত বছর ধরে অটো চালাচ্ছেন? পরিবারে কে আছেন? নানা রকম প্রশ্নের উত্তর জানতে চান উৎসুক টুইঙ্কল। অভিনেত্রী কথায়, খানিকটা সঙ্কোচ নিয়ে তিনি জানালেন, এক বছর ধরে এই কাজ করছেন। আগে পোশাকে কারুকাজের কাজ করতেন। অটো চালাতে ভাল লাগে না… কিন্তু এতে টাকা আছে। সঞ্চয় করে সাতটা সোনার বিস্কুট কিনেছিলেন। সবই প্রায় মেয়ের বিয়েতে খরচ হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে এখনও একটা বিস্কুট রয়ে গিয়েছে।’’ সঙ্গে সঙ্গে উপদেশ দেন টুইঙ্কল। বলেন, ‘‘এই কথা যাতে পাঁচকান না হয়, জানাজানি হলে খুন হতে পারেন।’’ তখনই অটোর সিটের নীচ থেকে কসাইয়ের ছুরি বার করেন অটোচালক। বললেন, ‘চেষ্টা করুক না। আমি তার গলা কেটে দেব’!
যদিও মেয়ের সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়ে কোনও ছুরিওয়ালা অটোচালকের পাল্লায় পড়তে হয়নি তাঁদের। টুইঙ্কল বলেন, ‘‘এখন আপনারা বুঝতে পারলেন, কেন আমার প্রথম বইয়ের প্রচ্ছদে একটি রিকশার ছবি ছিল।’’ বহু আগেই অভিনয়কে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। আপাতত লেখালিখি নিয়েই ব্যস্ত। ‘মিসেস ফানিবোন্স’ তাঁর লেখা সর্বাধিক বিক্রি হওয়া বই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy