সোনার দাম কমল না বাড়ল, সারা বছর চোখ থাকে প্রায় সকলেরই। পয়লা বৈশাখের আগে সোনার বাজারে সুখবর। তিন দিনে কলকাতায় কমেছে সোনার দাম। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, বাংলা নতুন বছরে আরও কমতে পারে সোনার দাম। এমনকি মনে করা হচ্ছে, ১০ গ্রাম প্রতি ৫৬ হাজার টাকায় নেমে আসতে পারে এই অমূল্য ধাতুর দাম। সোনার গয়নায় সেজে উঠতে ভালবাসেন টলিপাড়ার নায়িকারাও। তাই সোনার বাজারে চোখ রেখেছেন তাঁরাও। দাম কমতেই তাঁরাও কি সোনার দোকানমুখী হতে চলেছেন? খোঁজ নিল আনন্দবাজার ডট কম।
গয়না পরতে ভালবাসেন স্বস্তিকা দত্ত। অভিনেত্রী জানান, সোনার গয়নার প্রতি তাঁর মায়ের বিশেষ ঝোঁক। তাই সোনার দাম কমলে সবচেয়ে খুশি হবেন তাঁর মা। স্বস্তিকার কথায়, “সোনা পছন্দ করে না, এমন মহিলা খুব একটা দেখিনি আমি। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ আমার মা। তিনি পঞ্জাবি পরিবারের মেয়ে। তাই সোনার দাম কমলে মা তো খুবই উত্তেজিত হবেন।”
যদিও সোনার গয়না নিয়ে নিজের তেমন উত্তেজনা নেই স্বস্তিকার। তাঁর পছন্দের তালিকায় সবার উপরে থাকে হিরে ও প্ল্যাটিনাম। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি হালকা গয়না পছন্দ করি। সোনার মধ্যেও হালকা গয়নাই বেশি পছন্দের। একটা মটর হার রয়েছে, সেটা খুবই পছন্দ আমার। হিরে, রুপো ও প্ল্যাটিনাম খুব পছন্দ ঠিকই, কিন্তু এই সব গয়না এক দিকে, আর এক দিকে সোনার গয়না। ঢাকাই জামদানি শাড়ির সঙ্গে বড় সোনার কানপাশা আর সোনার চেন পরলেই বাঙালি মেয়েদের সাজ পরিপূর্ণ। মেয়েদের সৌন্দর্য সোনা আরও বেশি করে ফুটিয়ে তুলতে পারে।”
হালফ্যাশনের সোনার গয়না অনেকেরই পছন্দ। তবে আজও সিন্দুকে রাখা পূর্বপুরুষদের ভারী গয়নার আলাদা মূল্য। স্বস্তিকার কাছেও রয়েছে তাঁর ঠাকুমার একটি গয়না। প্রাচীন একটি সাদা পাথরের উপর সোনা দিয়ে ঝালাই করা একটি লকেটের কথা জানান অভিনেত্রী। বলেন, “ঠাকুমা চাকরিরতা ছিলেন। তাঁর সোনা কেনার প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। বরফি আকারের এই লকেটটাও তেমন। ওটা কোনও চেনের সঙ্গে পরলে আর কিছু দরকার পড়ে না। আমি দেখেছি, ঠাকুমা বা মা নিজেরা বরাত দিয়ে পছন্দমতো নকশার সোনার গয়না বানাতেন। আগে থেকে তৈরি গয়না খুব একটা কিনতেন না।”
গয়না নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই টলিপাড়ার আর এক নায়িকা তৃণা সাহার। কোনও রকমের গয়নাই পরতে পছন্দ করেন না। তবে বিয়েবাড়ি বা কোনও সাবেকি অনুষ্ঠানের জন্য সোনার গয়নাই বেছে নেন। তৃণার স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, “আমি গয়না তেমন পরিই না। বিয়েতেই ভাল করে শেষ সোনা কিনেছিলাম। তা ছাড়া দীপাবলির সময়ে সোনার মুদ্রা বা গোল্ড বার কিনে রাখি। তবে আমার মা খুব ভালবাসে গয়না পরতে। তাই মাকে মাঝেমধ্যে উপহার দিই। বিয়েবাড়িতে শাড়ির সঙ্গে সোনার গয়নাই পরি।”
আরও পড়ুন:
বিনিয়োগ করার জন্য সোনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা অনেকেই বোঝেন না। এমনই মনে করেন তৃণা। অভিনেত্রী বলেছেন, “এখন তো তা-ও দাম কমেছে। সোনার দাম প্রায় এক লাখ হয়ে গিয়েছিল। তাই সোনার মতো ভাল বিনিয়োগ আর কী হয়! ভবিষ্যতে কী হয় কেউ জানে না। করোনা শিখিয়েছে, যে কোনও সময় যা খুশি হতে পারে। তাই সোনার সঞ্চয় সব সময়ই ভাল ও উপযোগী।”
সোনা বড় বিনিয়োগ, মনে করেন স্বস্তিকাও। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি আজ কী খাচ্ছি, তার চেয়েও বেশি ভাবি কাল কী খাব। তাই বিনিয়োগে বিশ্বাস করি। তবে গোল্ড বন্ড না। আমি সোনার গয়না কিনি ভবিষ্যতের জন্য।” বিয়েতে কেমন সোনা পরবেন, সেই সব নিয়ে অবশ্য কোনও পরিকল্পনা নেই অভিনেত্রীর। বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই স্বস্তিকা বলেন, “বিয়ে নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই। এই সব নিয়ে ভাবিনি। তবে আমি আংটি খুব পছন্দ করি। আমার হাতে দুটো হিরে ও প্ল্যাটিনামের আংটি রয়েছে। সেগুলো আমি নিজেকেই নিজে উপহার দিয়েছি।”
নাচের জন্য অনুষ্ঠানে গয়না পরতেই হয়। বাস্তবেও গয়না পছন্দ দেবলীনা কুমারের। সোনার গয়না হলে তো কথাই নেই! অভিনেত্রীর কথায়, “আমি সোনার গয়না ভীষণ ভালবাসি। আমার কাছের মানুষজন সকলেই জানেন, আমি সোনা কতটা পছন্দ করি। সোনার দাম কমেছে। খুবই ভাল বিষয়।” তবে সোনা কেনার কোনও পরিকল্পনা নেই। অভিনেত্রীর কথায়, “এখন সোনা কেনার টাকা নেই (হাসি)। কেউ দিলে খুশি মনে নিয়ে নেব। আমি সোনার গয়নাই পরি। হালফ্যাশনের গয়না খুব একটা পরি না।”