দেবশ্রী রায়কে 'প্রণম্য' বললেন কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রচারের পর থেকেই দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন দেবশ্রী রায়। ‘কলকাতার রসগোল্লা’র তকমা সরিয়ে তিনি ঝাঁ চকচকে ‘রঙ্গবতী’। জি বাংলার ‘সর্বজয়া’ ধারাবাহিকে দীর্ঘ দিন পরে ক্যামেরার মুখোমুখি হয়েই দেবশ্রী ‘পাটরানি’র মেজাজে। সম্প্রতি, ‘পর্দার মেয়ে’ ওরফে অভিনেত্রী সংঘমিত্রা তালুকদারের সঙ্গে ধারাবাহিকে চুটিয়ে ‘রঙ্গবতী’ গানের সঙ্গে নেচেওছেন। দেবশ্রীর নাচ বহু বছর পরে দেখতে পেয়ে দারুণ খুশি দর্শকরা। তার ছাপ চলতি সপ্তাহের রেটিং চার্টে। তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে ‘সর্বজয়া’।
একই সঙ্গে টানা দু’মাস ধরে ‘বাংলার সেরা’ ধারাবাহিক ‘মিঠাই’-এর ঘাড়েও কি শ্বাস ফেলছে স্নেহাশিস চক্রবর্তীর এই ধারাবাহিক? টেলিপাড়া বলছে, একই ভাবে ‘সর্বজয়া’কে টক্কর দিতে হাজির হচ্ছে নতুন ধারাবাহিক ‘আয় তবে সহচরী’। ‘অন্দরমহল’-এর পর এই ধারাবাহিক দিয়ে আবার ছোট পর্দায় ফিরছেন কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহানা দত্তের এই ধারাবাহিকে তিনি মেয়েদের অপূর্ণ সাধ, স্বপ্নের কথা বলবেন। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে স্টার জলসায় রাত ৯টায় দেখা যাবে ধারাবাহিকটি। এই সময়েই জি বাংলায় দেখানো হয় ‘সর্বজয়া’।
অদৃশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে কী মত দেবশ্রী, কণীনিকার? আনন্দবাজার অনলাইনকে পর্দার ‘সর্বজয়া’ বলছেন, ‘‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কেবল আমি। আর কেউ নন। প্রতি দিনের চেষ্টা থাকে নিজেকে যেন ছাপিয়ে যেতে পারি। দর্শকরা যেমন আগে আমায় নিয়ে খুশি থাকতেন, এখনও যেন তার অন্যথা না ঘটে। দর্শকদের খুশি করতে শুধু ‘রঙ্গবতী’ কেন, আরও অনেক রূপে সর্বজয়া আসবে। তার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে।’’ পাশাপাশি দেবশ্রীর আরও দাবি, তিনি রেটিং চার্ট নিয়ে মাথা ঘামান না। বরং, মন দিয়ে নিজের কাজ করে যেতে চান।
কণীনিকার স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘দেবশ্রী রায় প্রণম্য। ওঁর ‘দাদার কীর্তি’ থেকে ‘উনিশে এপ্রিল’-সহ সমস্ত ছবির অন্ধ ভক্ত। তার পরেও চাইব, রেটিং চার্টে যেন আমিই সেরা থাকি। এই জায়গাটা কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারব না। ধারাবাহিক ‘অন্দরমহল’-এর ‘পরমেশ্বরী’র মতোই ‘সহচরী’ও যেন সবার ভালবাসা পায়।’’ এই বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসীও তিনি। জানিয়েছেন, প্রচণ্ড পরিশ্রম করছে গোটা টিম। দর্শকদের অন্দরমহল, রেটিং চার্টে তার ছাপ পড়তে বাধ্য।
প্রতি সপ্তাহের রেটিং চার্ট যখন এ ভাবে একাধিক ধারাবাহিকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তৈরি করে দিচ্ছে, তখন আক্ষরিক অর্থেই অনায়াস ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস। কথার শুরুতেই তাঁর দাবি, ‘‘দ্বন্দ্ব ‘সর্বজয়া’, ‘অপরাজিতা অপু’, ‘যমুনা ঢাকি’, ‘কৃষ্ণকলি’র মধ্যে। যারা ৯, ৮.৪, ৭.৮, ৭ নম্বর পেয়ে প্রথম পাঁচে। মিঠাই-এর নম্বর ১১.২। সবার সঙ্গে তার নম্বরের ফারাক অনেকটাই। তাই এই নিয়ে এখনই চিন্তা করছি না।’’ একই সঙ্গে পরিচালকের দাবি, তার মানে তিনি অন্য ধারাবাহিকগুলোকে ‘সামান্য’ ভাবছেন না। বরাবর তিনি একাই ভাল ফল করে যাবেন, এমনটাও বলছেন না। রাজেন্দ্রর মতে, প্রতি সপ্তাহের এই প্রতিযোগিতা ধারাবাহিকের মান উন্নত করে দিচ্ছে। এতে আখেরে টেলি দুনিয়ার লাভ।
কাজের চাপে ছোট পর্দায় ধারাবাহিক দেখা হয়ে ওঠে না তাঁর। অন্য ধারাবাহিকগুলোর থেকে নিজের কাজ আলাদা রাখার জন্য সময় পেলেই মুঠোফোনে বাকি ধারাবাহিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখেন। ‘মিঠাই’ যাতে সেরার তকমা ধরে রাখতে পারে, তার জন্য আগামী দিনে দর্শকদের জন্য আর কী চমক রয়েছে? রাজেন্দ্রর বক্তব্য, ‘‘এখনও পর্যন্ত সিদ্ধার্থ-মিঠাইয়ের প্রেম হল না। এ বার আস্তে আস্তে তারা একে অপরকে চিনবে, বুঝবে। ঠোকাঠুকি সরে নির্ভরতা, ভালবাসা আসবে। আগামী দিনে রোমান্সে ডুববে মিঠাই-সিড।’’
এর পরেও বাঙালির মধুমেহ আটকায় কে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy