এই মুহূর্তে ইউটিউবে খুঁজলে শিল্পীর নামাঙ্কিত ফেক প্রোফাইল সামনে আসছে। চ্যানেলটি ফিরিয়ে আনতে এখন কী করবেন ইমন? — ফাইল চিত্র।
সমাজমাধ্যম যেমন রাতারাতি কোনও ব্যক্তিকে অগণিত মানুষের দরজার হাজির করতে পারে, তেমনই হঠাৎ সেই দরজা বন্ধও করে দিতে পারে। এই মুহূর্তে গায়িকা ইমন চক্রবর্তীও কিছুটা সে রকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। রাতারাতি গায়েব হয়ে গিয়েছে শিল্পীর ইউটিউব চ্যানেল! ইমনের দাবি, ইউটিউবের তরফে আগাম কোনও সতর্কবাণীও তিনি পাননি। হঠাৎ করে নিজের চ্যানেল উধাও হয়ে যাওয়ায় কী করবেন বুঝতে পারছেন না ‘তুমি যাকে ভালবাসো’র গায়িকা। ইমন পুরো বিষয়টা জানিয়ে বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন।
ফেসবুকে শিল্পী লেখেন, ‘‘আজ সকালে ইউটিউবের তরফে একটি ইমেল পেলাম। ওরা ওদের প্ল্যাটফর্ম থেকে আমার চ্যানেলটিকে সরিয়ে নিয়েছে। জানি না কী করেছি, বা আমি কোন নিয়ম লঙ্ঘন করেছি। আমরা এই চ্যানেলের পিছনে এতটা সময় বিনিয়োগ করেছি। হঠাৎ ওদের একটা মেল আসায় সেটা গায়েব হয়ে গেল। এটা সত্যিই অনভিপ্রেত।’’
সাধারণত, সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীর কোনও চ্যানেলকে বন্ধ করার আগে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমটির তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। তার পরেও তা না মানলে তখন ওই সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে বা তাঁর প্রোফাইল ব্লক করতে পারে। কিন্তু ইমনের ক্ষেত্রে এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে শিল্পীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ইমন বললেন, ‘‘ইউটিউব জানিয়েছে, আমরা নাকি কিছু নিয়ম লঙ্ঘন করেছি। কিন্তু কী নিয়ম ভেঙেছি, সেটা জানায়নি। আমাদের যদি খুঁজে বার করতে হয় কী ভুল করেছি, সেই সুযোগও নেই। কারণ চ্যানেলটাই তো নেই!’’
প্রায় ১৩ বছর ধরে ইউটিউবে ইমনের চ্যানেলটি সচল ছিল। এর আগেও চ্যানেলের কিছু গানের ক্ষেত্রে ইমনের টিমের কাছে সতর্কবাণী এসেছিল। ইমনের কথায়, ‘‘সেগুলো আমরা আবার আবেদন করায় ওরাও মেনে নন। কোনও সমস্যা হয়নি।’’ এই প্রসঙ্গেই শিল্পী বলছিলেন, ‘‘একটা চ্যানেলের পিছনে একটা পুরো টিমের পরিশ্রম কাজ করে। একটা গান তৈরিতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তা ছাড়া আমার চ্যানেল থেকে নতুনদের গানও প্রকাশ করেছি। তাঁদের গানের ভিউয়ারশিপও দারুণ। ওদের জন্য আরও বেশি খারাপ লাগছে।’’
এই মুহূর্তে ইউটিউবে খুঁজলে শিল্পীর নামাঙ্কিত ফেক প্রোফাইল সামনে আসছে। চ্যানেলটি ফিরিয়ে আনতে এখন কী করবেন ইমন? শিল্পী জানালেন, ইতিমধ্যেই টুইটারে তিনি ‘ইউটিউব ইন্ডিয়া’র থেকে সাহায্য চেয়েছেন। তাঁর টিমের তরফে ইউটিউব-এ ইমেলও করা হবে। ইমনের কথায়, ‘‘ঠিক কী কারণে ওরা এই কাজটা করল সেটা আমরা জানতে চাইব। তার পর ওদের তরফে ইমেল না আসা পর্যন্ত তো অপেক্ষা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।’’
সুখবরটি আসে মঙ্গলবার বিকালে। ইমন জানান, তিনি তাঁর চ্যানেল ফিরে পেয়েছেন। ইউটিউব কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত সমস্যার কথা শুনেছেন এবং শিল্পীকে তাঁর চ্যানেল ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ইমন বলেন, ‘‘সকাল থেকে প্রচুর মানুষ ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। তবে ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ওঁরা আমার সমস্যার কথা শুনেছেন এবং দ্রুত সমাধান করেছেন। আমি আমার চ্যানেল ফিরে পেয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy