(বাঁ দিকে) ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’ ছবিতে দেব। পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল প্রায় আট বছর টানা শহরের প্রথম সারির অন্যতম প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেই কাজ করে গিয়েছেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। ‘অভিশপ্ত নাইটি’, ‘বিবাহ অভিযান’, ‘মুখোশ’— পর পর প্রায় ১০টি ছবি তৈরি করেছিলেন এই প্রযোজনা সংস্থা থেকেই। এত বছর পর বাড়ি বদলে নতুন সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি করেছেন ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’। ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে ছবির টিজ়ার। নতুন ব্যোমকেশ দেবকে নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু দর্শক মহলে। ছবিটি ঘোষণার পর থেকেই হয়েছিল বিস্তর আলোচনা। কারণ এই চরিত্রে আগে অভিনয় করেছেন তাঁর সমসাময়িক অনির্বাণ ভট্টাচার্য, যিশু সেনগুপ্ত, আবীর চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও অনেক অভিনেতাই।
এ দিকে বাংলায় বেশ অনেক দিন পরেই ছবি তৈরি করছেন বিরসা। তাঁর আগে অবশ্য ‘বিবাহ অভিযান ২’ তৈরি করার কথা ছিল তাঁর। তার পর আবার এই একই গল্প নিয়ে এসভিএফের ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য সৃজিত মুখোপাধ্যায় তৈরি করছেন সিরিজ়। ফলে তা নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। এই প্রসঙ্গ উঠতেই হাসতে হাসতে আনন্দবাজার অনলাইনকে বিরসা বললেন “আমরা কোনও ঘোলা জলে তাকাইনি। প্রত্যেকের আলাদা গল্প বলার ধরন আছে। আমি তো চাই লোকে সিনেমাহলে এসে দেখুক আমাদের ব্যোমকেশ। আর বাড়িতে বসে দেখুক ওদের ব্যোমকেশ।”
তবে একটানা যেহেতু অন্য সংস্থার জন্য এত দিন ছবি তৈরি করে এসেছেন পরিচালক, তাই তাঁর এই নতুন সংস্থার সঙ্গে কাজ নিয়ে অনেক প্রশ্নই উঠেছিল। এই বিষয়ে কখনও কোনও কথা বলতে শোনা যায়নি পরিচালককে। সে প্রসঙ্গ উঠতেই বিরসার স্পষ্ট জবাব, “আমি ফ্রিল্যান্স পরিচালক। আমি যে কোনও সংস্থার সঙ্গে ছবি বানাতে পারি। আমি আগামিকাল শ্রীকান্তদার (মোহতা, এসভিএফ-এর কর্ণধার) সঙ্গেও আবার ছবি বানাতে পারি। যাঁদের কাছে স্বত্ব ছিল তাঁদের জন্যই ছবিটা করলাম। আর দেবের সঙ্গে অনেক দিন ধরে কথা চলছিল। কোনও তকমা ছাড়াই আমরা পরিচালক। দর্শকের জন্য সিনেমা তৈরি করি, তাঁদেরও কিন্তু কোনও তকমা নেই।” তবে পরিচালকের এখনও পর্যন্ত পছন্দের ব্যোমকেশ হলেন আবীর।
১১ অগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পাবে বিরসা পরিচালিত এই নতুন ছবি। তার পর আবার লম্বা ছুটি নেবেন তিনি। তার পর আবার নতুন ছবির কাজ শুরু করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy