মিমি ও তনুশ্রী
কথাতেই আছে, আপনি যদি রামধনু ভালবাসেন, তা হলে আপনাকে বৃষ্টিকেও ভালবাসতে হবে। বৃষ্টির রোম্যান্টিসিজ়মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে জমা জল আর কাদার ঝকমারি। কারও কাছে বৃষ্টি মানে জমা জলে নৌকা ভাসানোর স্মৃতি, কারও কাছে রুপোলি ইলিশ।
যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল
জলপাইগুড়ির বৃষ্টিতে ছেলেবেলা কেটেছে মিমি চক্রবর্তীর। আজও সেই দিনগুলো মিস করেন। ‘‘বৃষ্টির রোম্যান্টিকতাকে অস্বীকার কি করা যায়, বলুন,’’ প্রশ্ন তুললেন মিমি। বর্ষা অভিনেত্রীর অন্যতম পছন্দের ঋতু। এখন তিনি সাংসদ। তাই বাড়িতে বসে অঝোর ধারা উপভোগ করার উপায় নেই। গত শনিবার যেমন বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বেরিয়ে পড়েছিলেন নিজের এলাকায়। ‘‘খোঁজ নিয়েছি সব ঠিক আছে কি না। সমস্যা থাকলে সেটা মেটানোর চেষ্টা করেছি,’’ বক্তব্য মিমির। প্রিয় পোষ্য ম্যাক্স আর চিকুও বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ভালবাসে! বৃষ্টি ভালবাসেন তনুশ্রীও। বলছিলেন, ‘‘বর্ষা খুবই ভালবাসি। তবে জল পেরিয়ে কাজে যেতে হলে ভাল লাগে না। আজ যেমন পা ভিজিয়ে স্টুডিয়োয় ঢুকতে হল।’’ বৃষ্টি নিয়ে রাইমা সেনের তেমন রোম্যান্টিসিজ়ম না থাকলেও, এই দিনগুলোয় কাজে না যেতে হলেই ভাল। রাইমার কথায়, ‘‘কোথাও গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া নয়তো বাড়িতে বসে নেটফ্লিক্স দেখা। আর হ্যাঁ, বৃষ্টিতে ড্রাইভে যেতেও ভাল লাগে।’’
ফিরে দেখা ছোটবেলা
স্কুলবেলার পরম প্রাপ্তি রেনি ডে। অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা সরকার যা সবচেয়ে বেশি মিস করেন। ছেলে সহজের রেনি ডে-র মধ্য দিয়ে ফিরে যান নিজের ছোটবেলায়। ‘‘বাড়ির সামনের মাঠে জমা জলে দিদির সঙ্গে বাটারফ্লাই খেলতাম,’’ নস্ট্যালজিয়া মিমির। গল্প বলছিলেন তনুশ্রীও, ‘‘স্কুলবাস যেখানে নামাত, সেখান থেকে বাড়ি অবধি চুপচুপে হয়ে ফিরতাম। ছাতা সঙ্গে থাকলেও নায়িকাদের মতো করে সেটা হেলিয়ে দুলিয়ে নিতাম, যাতে ভাল করে ভিজতে পারি। তার পরে বাড়ি ফিরেই মায়ের কাছে দুমদাম মার খাওয়া।’’ এখনও স্কুলবেলা কাটেনি ‘করুণাময়ী রানি রাসমণি’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়ের। ‘‘স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতে সবচেয়ে ভাল লাগে। এই সেপ্টেম্বর মাস অবধি স্কুল চলবে আমার। তার পরে তো স্কুলজীবনই শেষ। তখন একসঙ্গে বৃষ্টিতে ভেজার এই আনন্দটাই স্মৃতি হয়ে যাবে,’’ বিরস গলায় বললেন দিতিপ্রিয়া।
জলকাদা প্যাচপেচে
দিতিপ্রিয়া ও অনুপম
লেখক, গায়ক মানে সে বৃষ্টি-প্রেমিক হবে, এমন একটা ধারণা মনে ভাসে। অনুপম রায় কিন্তু সেই ধারণার উল্টো দিকে। বৃষ্টি তাঁর মোটেই পছন্দের নয়। ‘‘ছুটি থাকলে অন্য কথা। কিন্তু রাস্তায় বেরোতে হলেই হয়ে গেল! জল, কাদা, ট্র্যাফিক জ্যাম। বেশ নোংরা ব্যাপার হয়ে থাকে কিন্তু,’’ বাদল দিনের রোম্যান্টিকতাকে নস্যাৎ করে বললেন অনুপম। প্যাচপেচে আবহাওয়ায় আপত্তি দিতিপ্রিয়ারও, ‘‘প্রচণ্ড গরমের পরে মেঘলা দিন বেশ ভাল লাগে। কিন্তু ওই জমা জল বা কাদা ব্যাপারটা একটুও ভাল লাগে না।’’ প্রিয়ঙ্কার মতেও, ‘‘ছুটির দিন হলে ঠিক আছে। নইলে বর্ষার দিনে জলকাদার মধ্যে কাজ করতে কার ভাল লাগে?’’
রুপোলি ইলিশের মোহে
প্রিয়ঙ্কা
প্রিয়ঙ্কার কাছে বর্ষাকালের ভাল লাগার একমাত্র উপাদান ইলিশ মাছ। ‘‘ইলিশ মাছের তেল দিয়ে ভাত। উফ! এটার জন্য ডায়েটও ভুলে থাকা যায়। বৃষ্টি মানেই চায়ের সঙ্গে তেলেভাজা। আর খিচুড়ি ছাড়া বর্ষা জমে নাকি!’’ অনুপমের মুখেও ইলিশ প্রেমের গল্প। ইলিশ কেনার এক গল্প বললেন তনুশ্রী, ‘‘এক বার বাংলাদেশ থেকে ইলিশ কিনে ফিরছিলাম। তবে এখানে এমন বৃষ্টি যে, প্লেন ল্যান্ড করতে পারল না। আবার বাংলাদেশ ফিরে গেল। খুব মন খারাপ হয়েছিল।’’ বাদলা দিনে তনুশ্রীর পছন্দের লাঞ্চ, খিচুড়ি আর ডিমভাজা। বৃষ্টিমুখর দিনে দিতিপ্রিয়ারও পছন্দের মেনু, খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy