কালীপুজো আর দীপাবলিতে আলোয় সেজে ওঠে আমার বাড়ি।
ছোট থেকে বড় হয়েছি দীপাবলিতে আলোর রোশনাই দেখে। আমাদের বাড়ির একটি নিয়ম আছে। লক্ষ্মীপুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত রোজ সন্ধেয় সারা বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো। নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। তাই রোজ প্রদীপ জ্বালানো সম্ভব হয় না আমার পক্ষে। অন্য দিনগুলো বাড়ির অন্যান্যরা সামলিয়ে দেন। দুটো দিন আমার জন্য বরাদ্দ, কালীপুজো আর দীপাবলি।
মোমবাতি বা চাইনিজ আলোর থেকেও আমার পছন্দ মাটির প্রদীপ। যেমন শান্ত, সিগ্ধ, তেমনই আলাদা আভিজাত্য আছে এর। তাই খানিকটা জোর করেই আমার হাত ধরে বাড়িতে এই রেওয়াজ আজও চলছে। তাই তার কিছু দায়িত্ব তো আমার উপরেও বর্তায়!
বিকেল থেকেই তাই এই দুটো দিন কোমর বেঁধে কাজে নেমে পড়ি। প্রদীপে তেল ভরা, সলতে পাকানো-- সব করি নিজের হাতে। এই দিনে আমি একটুও রিল লাইফ নায়িকা নই। নিতান্ত আটপৌরে, সাধারণ। আপনাদের মতো। সন্ধে হলেই সাজানো প্রদীপ জ্বালিয়ে দিই। আলোয় সেজে ওঠে আমার বাড়ি। অমানিশার কালো পালায় আপনা থেকেই।
আরও একটা জিনিস ছোট থেকেই কম আমার মধ্যে। সেটা, আতসবাজি পোড়ানো। বাজি থেকে বরাবরই শত হাত দূরে। এ বছর আরও ভাল। করোনার জন্য বাজি নিষিদ্ধ। দূষণ যত কম ছড়াবে, আমরা সুস্থ থাকব তত। শব্দবাজি কোনও কালেই পোড়াই না। অন্য বছর রংমশাল, ফুলঝুরির মতো আলোর বাজি আসে বাড়িতে। এ বছর তাতেও দাঁড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy