জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপের কথা প্রকাশ্যে বলে ফেললেন ইন্দ্রাণী হালদার। —ফাইল চিত্র।
টালিগঞ্জে দেখতে দেখতে তিনি কাটিয়ে ফেলেছেন ৩৭ বছর। ‘তেরো পার্বণ’ সিরিয়ালের মাধ্যমে অভিনয়ে জগতে হাতেখড়ি হয় ইন্দ্রাণী হালদারের। দীর্ঘ দিন মুম্বইয়েও কাজ করেছেন তিনি। প্রসেজনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নায়িকা হিসাবেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। অভিনেত্রী হিসাবে তিনি সফল। এত সাফল্যের পরেও একটি আক্ষেপ রয়েই গিয়েছে ইন্দ্রাণীর। মনের কোণে থাকা সেই হতাশার কথাই ক্যামেরার সামনে বলে ফেললেন অভিনেত্রী।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত একটি রিয়্যালিটি শো-এ সেই দুঃখের কথাই শোনালেন তিনি। এত হাসিখুশি অভিনেত্রীর জীবনেও আক্ষেপ রয়েছে শুনে কিছুটা হলেও চমকে গিয়েছিলেন শাশ্বত। জিজ্ঞেস করেন, কী আক্ষেপ? অভিনেত্রী বলেন, “আমার এই আক্ষেপটাই রয়ে গেল আমি আমার স্বামীকে বাবা হওয়ার সুখ দিতে পারলাম না।” ইন্দ্রাণী যোগ করেন, “আমি সারা জীবন এত কাজের পিছনে ছুটলাম যে, মা-ই হতে পারলাম না। সন্তানের জন্ম দেওয়া হল না। সেটাই আমার আর আমার স্বামীর (ভাস্কর রায়) আফসোস। ভাস্কর সব সময় বলে , ‘‘সারা জীবন অন্যদের জন্য ভেবে গেলে।’’ একটা সময় অবশ্য আমরা চেষ্টা করেছিলাম বাচ্চার জন্য। কিন্তু তখন দু’জনের বয়সই বেড়ে গিয়েছে। আমার চল্লিশের বেশি হয়ে গিয়েছিল। তখন আমরা চেষ্টাই বন্ধ করে দিই। তবে আমার দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ভাস্কর চায়নি। তাই মা হওয়া আমার হল না। আমি অক্ষম। এই ক্ষোভটাই রয়ে যাবে সারা জীবন।”
সিরিয়াল এবং সিনেমায় এখন চুটিয়ে কাজ করছেন ইন্দ্রাণী। বছর দুই আগে শেষ হয়েছে ‘শ্রীময়ী’। যে সিরিয়ালে অভিনেত্রীর চরিত্র কুড়িয়েছিল বিপুল প্রশংসা। তার স্মৃতি এখনও স্পষ্ট দর্শকের মনে। তার পর গত বছর মুক্তি পায় ‘কুলের আচার’। যে ছবিতে ইন্দ্রাণীর সঙ্গে মধুমিতা সরকারের শাশুড়ি- বৌমার জুটি ভালবেসেছিলেন দর্শক। জি বাংলার একটি রিয়্যালিটি শো সঞ্চালনা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু শোনা যায়, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি পিছিয়ে এসেছেন। আগামী দিনে মধুমিতার সঙ্গে আরও একটি ছবি করার কথা আছে তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy