ঐন্দ্রিলার পাশে রয়েছে টলিপাড়া। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সব্যসাচী চৌধুরী সোমবার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্ট ঘিরেই টলিপাড়ায় ঐন্দ্রিলা শর্মার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। সব্যসাচী লিখেছিলেন, ‘‘কোনও দিন এটা এখানে লিখব ভাবিনি, আজ লিখলাম। সকলকে অলৌকিকের জন্য প্রার্থনা করুন।’’ সঙ্গে সঙ্গেই নেটমাধ্যমে ঐন্দ্রিলার দ্রুত আরোগ্য কামনায় একের পর এক শুভেচ্ছাবার্তা। মনের কথা ব্যক্ত করেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী-সহ অনেকেই।
মঙ্গলবার পরমব্রত ফেসবুকে ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘এই ছোট্ট মেয়েটি এবং ওর সঙ্গীর জন্য প্রার্থনা করুন। ও শুরু থেকে মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি তোমাদের দু’জনকেই ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না। কিন্তু ঐন্দ্রিলা তোমার লড়াইকে কুর্নিশ জানাতে চাই।’’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘সব্যসাচী তুমি যেভাবে শুরু থেকে ওর সঙ্গে এই লড়াইতে পাশে দাঁড়িয়েছ তা সাহচর্য এবং ভালবাসার প্রতি নতুন করে বিশ্বাস তৈরি করেছে। হ্যাঁ, আমরা তোমার কথা শুনতে পেয়েছি এবং নিশ্চয়ই কোনও অলৌকিকের জন্য প্রার্থনা করব।’’
সুদীপ্তাও নেটমাধ্যমে তাঁর মনের কথা লিখেছেন। তাঁর বার্তা, ‘‘প্রার্থনার কি কোনও ফল পাওয়া যায়? আমি জানি না। যদি ফল পাওয়া যায়, তা হলে প্রার্থনার প্রয়োজন। মন থেকে ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচীর জন্য প্রার্থনা করছি। এই যুদ্ধটা ওদের জিততেই হবে। একটা অলৌকিক কিছু ঘটুক। অলৌকিক তো ঘটে, তাই নয় কি?’’ পিছিয়ে নেই সুদীপ্তার দিদি বিদীপ্তা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিদীপ্তার মেয়ে মেঘলার জন্মদিন। সে কথা মনে করিয়ে কেঁদে উঠেছে মায়ের মন। বিদীপ্তা লিখেছেন, ‘‘আমারও প্রায় এই বয়সি একটা মেয়ে আছে। তার জন্মদিনে আজ মনপ্রাণ দিয়ে আমার এটুকুই প্রার্থনা, এই কঠিন লড়াই জিতে খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসুক মেয়েটা। ঐন্দ্রিলার বাবা, মা আর সব্যসাচীর পাশে থেকে শুধু প্রার্থনা করছি, ওদের এই কঠিন সময় কেটে যাক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।’’
‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকের রাহুল ওরফে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ও ওই যুগলের প্রতি তাঁর সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। সোমবার রাতে সব্যসাচীর বার্তা পড়ে অনিন্দ্য লিখেছেন, ‘‘ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে কিছুই লিখিনি ফেসবুকে। খালি মনে মনে প্রার্থনা করে গিয়েছি যেন মেয়েটা সুস্থ হয়ে ওঠে তাড়াতাড়ি। আজকে শট দিতে যাওয়ার আগে সব্যসাচীর পোস্টটা বুকে লাগল আবার। একটাই প্রার্থনা ঐন্দ্রিলা, আগেও যে ভাবে ফিরে এসেছে, এ বারও যেন সেটার পুনরাবৃত্তি হয়।’’ সব্যসাচীর লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘সব্যসাচীকে দেখে অবাক হয়ে যাই। ভগবান আর এদের মতন প্রেমিক বানায় না। নিঃস্বার্থ ভালবাসা কাকে বলে এরাই জানে। পাশে দাঁড়াতে এরাই জানে।’’
ঐন্দ্রিলার সঙ্গে দুটো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন মিশমি দাস। ইনস্টাগ্রামে দু’জনের ছবি পোস্ট করে সেই দিনগুলির স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘‘প্রতি দিন সেটে দেখা হলেও আমাদের নৈকট্য সেই অর্থে ছিল না। তবুও আমরা খুব ভাল একটা সময় কাটিয়েছিলাম। শান্তিনিকেতনে আউটডোরে গিয়ে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে প্রথম আলাপ মিশমির। সে কথা মনে করিয়ে করিয়ে মিশমি লেখেন, ‘‘হোটেলের একই ঘরে থাকতাম আমরা। ভোর চারটের সময় কলটাইম থাকত। কিন্তু সারা রাত আমাদের গল্প চলত। অভিনয়ের প্রতি ওর উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে সে দিনই বুঝতে পেরেছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy