রাজদীপ গুপ্ত এবং অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়
বুধবার রাতে ফেসবুকে ধুন্ধুমার লড়াই ২ টলিউড অভিনেতার। রাজদীপ গুপ্ত এবং অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধুত্বও যেমন বহুল চর্চিত বিষয় ছিল, তাঁদের বিবাদও এ বারে নেটাগরিকদের চর্চায় উঠে এল।
রাজদীপ ফেসবুকে সরাসরি আক্রমণ করলেন অনিন্দ্যকে। তাঁকে ‘মিথ্যেবাদী’ আখ্যা দিয়ে রাজদীপ জানিয়ে দিলেন, আর যোগাযোগ রাখতে চান না তাঁর সঙ্গে। অনিন্দ্য সেই পোস্টের তলায় এসে রাজদীপের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিলেন। যোগাযোগ রাখবেন বলে জানালেন তিনিও। একে অপরকে গালিগালাজ করতেও ছাড়লেন না।
রাজদীপ লিখলেন, ‘তোর কাছ থেকে এটা আশা করিনি। তোকে আমি ভাই মনে করতাম। এই মিথ্যের জবাব আমি কাল দেব। আমাকে আর মেসেজ বা ফোন করিস না। এখানেই শেষ আমাদের সম্পর্ক’।
অনিন্দ্যর মন্তব্য, ‘তুই কী জবাব দিবি আমাকে? মুখ আছে জবাব দেওয়ার? আর ফোন করব না তোকে আমি’। ‘মিথ্যেবাদী’র উত্তরে রাজদীপকে ‘ঢপবাজ’ আখ্যা দিলেন অনিন্দ্য।
হতবাক সাধারণ মানুষ-সহ খ্যাতনামীরাও। টেলি-অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তী, প্রয়োজক রানা সরকার প্রমুখ ২ অভিনেতার বিবাদ মেটাতে হাজির হলেন। কিন্তু সুরাহা হল না। ঝগড়ার কারণও জানা গেল না। কেউ ভাবলেন, একই মহিলার প্রেমে পড়ে সমস্যা। কেউ আবার ‘কাকলি ফার্নিচারস’ কিনে দিয়ে ঝগড়া মেটানোর উপায় বাতলেন।
রাজদীপ বলেছিলেন ‘মিথ্যের জবাব কাল দেব’। কথা রাখলেন তিনি। ঝগড়ার কারণ সামনে এল। বৃহস্পতিবার সকালে পোস্ট করলেন একটি ভিডিয়ো।
‘শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস’ প্রযোজিত নয়া ভিডিয়োই এই বিবাদের সুত্রপাত। কী দেখা যাচ্ছে সেখানে?
লকডাউনে বাড়ি বসে শরীর চর্চায় ছেদ পড়েছে দু’জনেরই। কিন্তু সে কথা স্বীকার করতে রাজি নন কেউই। এক জন বাড়ির কাজে ব্যস্ত, অন্য জন পোষ্যদের সঙ্গে বসে মিষ্টি খেতে ব্যস্ত। খোঁজ খবর নিতে একে অপরকে ফোন করেছেন তাঁরা। অনিন্দ্য তাঁর বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলেন, '‘‘কী করছিস?’’ রাজদীপ জানালেন, শরীর চর্চা করছেন। এ-দিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি আদপে ঘর মোছায় ব্যস্ত। একই প্রশ্ন বুমেরাং হয়ে অনিন্দ্যর কাছে যেতেই তাঁর উত্তর, ‘‘এই সাইকেল চালিয়ে ফিরলাম। এ বার একটু স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছি।’’ কিন্তু তাঁর হাতে মিষ্টির বাটি। রাজদীপ ও অনিন্দ্য মনে মনে ভাবছেন, সবাই কত যত্ন করছে নিজেদের। আমারই এই হাল?
কিন্তু খানিক পরেই দু’জনের মিথ্যে ফাঁস। রাজদীপের মা চিৎকার করে বললেন, ‘‘ঘর মোছা হয়ে গেলে বাসনগুলো ধুয়ে দিস রাজদীপ।’’ ও-দিকে অনিন্দ্যকে তাঁর মায়ের জোর ধমক, ‘‘সারা দিন মিষ্টি খাচ্ছিস তুই!’’ ফোনের ও-পাড়ে শোনা গেল সব কথা।
ব্যস, এই হল আসল ঘটনা। একে অপরের মিথ্যে ধরে ফেলে ফেসবুকে বিবাদ শুরু করলেন।
অতিমারির সময়ে মানুষের বিনোদনের জন্য নয়া পদক্ষেপ নিয়েছে এসভিএফ। অস্বীকার করে লাভ নেই, কয়েক ঘণ্টার জন্য নেটাগরিকরা চমকে গিয়েছিলেন বটে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy