১১ বছরের সম্পর্কের তিক্ত অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী সঙ্ঘশ্রী। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
অভিনেত্রী মানেই তাঁর সুন্দর চেহারা হওয়া প্রয়োজনীয়। সঠিক চেহারা না হলে কি ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো যায়? শুরুতে তাই অনেক কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সঙ্ঘশ্রী সিন্হা মিত্র। মালদহ শহর থেকে এসে কলকাতা শহরে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার কাজটা সহজ ছিল না। বাবা মারা গিয়েছিলেন। মায়ের ব্যবসা ভাল চলছিল না। ফলে সংসারের দায়িত্বও বর্তেছিল তাঁরই কাঁধে। সঙ্গী অবশ্যই ছিলেন অভিনেত্রীর দাদা।
এক দিকে টাকা রোজগারের চিন্তা। অন্য দিকে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল সঙ্ঘশ্রীর দীর্ঘ দিনের প্রেম। যদিও এর মধ্যেই টলিপাড়ায় নিজের জমি প্রায় শক্ত করে ফেলেছিলেন। ‘কি করে তোকে বলব’, ‘ফেলনা’-সহ একাধিক ধারাবাহিক করে ফেলেছেন। এক দিকে জনপ্রিয়তা, অন্য দিকে ব্যক্তিগত জীবনে তোলপাড়।
একটা ভুল সম্পর্কের জেরে কম টানাপড়েন যায়নি তাঁর জীবনে। কষ্ট হয়েছিল, কিন্তু ১১ বছরের সেই সম্পর্ক ভাঙতে দু’বারও ভাবেননি। অভিনেত্রী বলেন, “আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি কেউ যদি আপনাকে অপমান করে তা হলে তা সহ্য করবেন না। কেউ যদি আপনার গায়ে হাত তোলে তা এড়িয়ে যাবেন না। ভাববেন না যে এটা তাঁর ভুল। এগুলো অভ্যাস। যা কোনও দিন পরিবর্তন হবে না। ১১ বছরের সম্পর্কে আমায় শুনতে হয়েছিল, ‘তুই মোটা, তোকে কে অভিনয়ে সুযোগ দেবে’। চূড়ান্ত মারধর করত। তার পর আর সহ্য করতে পারিনি। ভেঙে দিই সেই সম্পর্ক।”
সঙ্ঘশ্রী এখন খুবই খুশি। বিয়ে করেছেন। চুটিয়ে সংসার করছেন। মায়ের পছন্দ করা ছেলেকেই বিয়ে করেছেন। অভিনেত্রী হওয়ার লড়াইয়ে সব সময় তাঁর পাশে রয়েছেন সঙ্ঘশ্রীর স্বামী। নিজেকে তাই সৌভাগ্যবতী মনে করেন সঙ্ঘশ্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy