আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
হিন্দি-বাংলা দুই জগতেই খুব বেছে কাজ করেন। টলিউডে তাঁর উপস্থিতি সাম্প্রতিককালে শুধুই গসিপের পাতায়। রবখা বিশ্টের সঙ্গে কি তাঁর বিচ্ছেদ হচ্ছে? ইশা সাহার সঙ্গে কি তিনি প্রেম করছেন? তাঁকে ঘিরে সব আলোচনাই এত দিন ছিল ব্যক্তিগত। কিন্তু ইদানীং তাঁর নাম অন্য কারণে সকলের মুখে মুখে ঘুরছে। কারণ, সন্দীপ রায় পরিচালিত ‘হত্যাপুরী’র নতুন ফেলুদা যে তিনিই। বড়দিনের মরসুমে (২৩ ডিসেম্বর) মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। পর্দায় এখন প্রচুর ফেলুদা। সেই ভিড়ে কতটা নিজের জায়গা তৈরি করে নিতে পারবেন তিনি? আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় ইন্দ্রলীন সেনগুপ্ত।
প্রশ্ন: টেনশন হচ্ছে?
ইন্দ্রনীল: একটু উদ্বিগ্ন বলতে পারেন। তবে টেনশন ঠিক হচ্ছে না। আমি আসলে কখনওই অনেক আগে থেকে খুব বেশি ভেবে ফেলি না। দেখা যাক না, কী হয়! নিশ্চয়ই চাইব যে ছবিটা ভাল চলুক, আমায় বা জটায়ু-তোপসেকে দর্শক মেনে নিন।
প্রশ্ন: পর্দায় এত জন ফেলুদা হয়েছেন এবং হচ্ছেন। সেখানে নতুন ফেলুদা হিসাবে দর্শকের মান্যতা পাওয়াই তো কঠিন হয়ে যায়...।
ইন্দ্রনীল: আমি বা বাবুদা (সন্দীপ রায়) সে ভাবে ভাবিনি। সৌমিত্রবাবু (চট্টোপাধ্যায়) অন্যতম সেরা ফেলুদা। বেণুদাও (সব্যসাচী চক্রবর্তী) নিজের মতো দারুণ করেছিলেন। আর এখন আরও অনেকে ফেলুদা হচ্ছে জানি। তবে আমরা খুব ছিমছাম ভাবে ফেলুদা তৈরি করেছি। খুব বেশি স্টাইলিজ়ড শুট, বা কায়দা করে নানা রকম ফাস্ট এডিটিং— এ সব করা হয়নি। ফেলুদাকে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ দেখানো হয়নি। বাচ্চাদের জন্য যেমন সহজ ভাবে সত্যিজৎ রায় লিখেছিলেন, সে ভাবেই দেখানো হয়েছে। আমারও সেই ক্লাসিক্যাল ফেলুদাই ভাল লাগে। হয়তো এই সহজ ভাবে বানানো হচ্ছে বলেই বাকিদের চেয়ে আমাদের ফেলুদাটা আলাদা করা যাবে।
প্রশ্ন: আপনি আপনার সমসাময়িকদের ফেলুদা দেখেছেন?
ইন্দ্রনীল: না, একটাও দেখিনি। দেখার জন্য একটা কৌতূহল বা উচ্ছ্বাস থাকতে হয়। আমার কোনওটাই হয়নি, তাই দেখিনি। অনেকে বলেন, বাকিরা কী করেছে সেটা দেখলে কাজে তার প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমি যদি দেখতামও, তা হলেও সৌমিত্রবাবু বা বেণুদার অভিনয় দেখেই হয়তো প্রভাবীত হতাম। কারণ ওঁদের অভিনয়ই মাপকাঠি। সেটাই হওয়ার কথাও। যদি ক্রিকেট খেলি, আমি তো সুনীল গাভাস্কারের মতো হতে চাইব, বিরাট কোহলীর মতো নয়! সিনিয়রদের দেখেই তো লোকে শেখে। তবে সম্প্রতি আমায় সৌমিত্রবাবু বা বেণুদার কাজও দেখতে মানা করেছিল বাবুদা। কারণ দেখলে হয়তো অজান্তেই তাঁদের অভিনয়ের ধাঁচটা আমি অনুকরণ করে ফেলতাম।
প্রশ্ন: আপনার মনে হয় সহজ ভাবে বলা ফেলুদার গল্প এখন চলবে?
ইন্দ্রনীল: গোয়েন্দা গল্প তো প্রচুর হয়েছে। এবং সবই খুব সহজে মানুষের হাতের মুঠোয় এখন। দর্শক গাই রিচির শার্লকও দেখছেন, আবার কাম্বারব্যাচেরও (বেনেডিক্ট) দেখছেন। বাঙালি যদি সেগুলো দেখতে চায়, তা হলে তো ওটিটি-তেই দেখবে। কিন্তু হলে গিয়ে ফেলুদা যখন দেখবে, তখন তো জেমস বন্ডের মতো ফেলুদা দেখতে চাইবে না। বরং সহজ ছিমছিম ফেলুদা দেখতেই যাবে। অনেকে অবশ্য ভাবতে পারেন, এই লিনিয়ার ন্যারেটিভ খুবই পুরনো হয়ে গিয়েছে, কিন্তু সেটাই তো বিশেষত্ব। বাবুদা বিশ্বাস করেন, সত্যজিৎ রায় যেমন লিখেছিলেন তেমনই ছবি তৈরি করা উচিত। ট্রেলার দেখে যাঁরা আমাদের ভাল কথা বলেছেন, তাঁরা এটাই বলেছেন যে, সহজ গল্পবলাটাই ভাল লাগছে।
প্রশ্ন: আর ট্রেলার দেখে যাঁরা কুকথা বলেছেন?
ইন্দ্রনীল: একই বিষয়ে অভিযোগ তাঁদের। যাঁরা ভাল বলেছেন, তাঁদের এই সহজ-সরল ফেলুদা ভাল লেগেছে। যাঁরা খারাপ বলেছেন, তাঁদের এই সহজ-সরল ফেলুদা একঘেয়ে লেগেছে। আমি বলব, এটা কিন্তু ভাল। তার মানে সারল্যটাই সকলের চোখে পড়ছে। বাকি ফেলুদা ছবির থেকে এই সারল্যই আমাদের আলাদা করে তুলবে।
প্রশ্ন: কিন্তু এত ট্রোল হচ্ছেন, খারাপ লাগছে না?
ইন্দ্রনীল: লোকে কুকথা বলবে, আর খারাপ লাগবে না— এ তো হয় না। তাই আমি এগুলো এড়িয়ে চলি। ছবি মুক্তির আগে আমি কোনও রকম মন্তব্য পড়ি না বা শুনি না। কারণ এর মধ্যে অনেক মন্তব্য খাঁটি হলেও, অনেক এমন থাকে যেগুলো কোনও উদ্দেশ্য নিয়েই পরিকল্পনা করে করানো হয়। সেগুলো পড়ে আর কী লাভ! এতে অবশ্য একটা মুশকিল হয়, ভাল কথাগুলোও জানতে পারি না। ছবি মুক্তির পর অবশ্যই দর্শকের প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করব।
প্রশ্ন: আপনি এত বেছে কাজ করেন, ফেলুদা করতে রাজি হলেন কেন?
ইন্দ্রনীল: ফেলুদা বলেই রাজি হয়ে গেলাম। যে কোনও ছবি বাছার আগে দুটো জিনিস দেখি। চিত্রনাট্য আর আমার চরিত্র। সেই দুটো ভাল হলে তো যুদ্ধে ৮০ শতাংশ এগিয়ে থাকা যায়। তখন আর দেখি না, ছবিটা কে বানাচ্ছেন। যদি দেখি, গল্প বা চরিত্র ঠিকঠাক, তখন পরিচালকের খোঁজ করি। কারণ, সে সময়ে এক জন ভাল পরিচালক চিত্রনাট্যের চেয়েও ছবিটা ভাল করে তোলার ক্ষমতা রাখেন। যদি তা-ও না হয়, তখন দেখি প্রযোজক কে। কারণ, ভাল প্রযোজক হলে বোঝা যাবে ছবিটা কী ভাবে বানানো হবে, কতটা প্রচার পাবে, ক’টা হলে মুক্তি পাবে। তবে সত্যি কথা বলতে, আমি এগুলো একদমই করি না। এখন দেখি অভিনেতারা এ সব নিয়ে খুব মাথা ঘামায়। কতটা প্রচার হচ্ছে, দিনে ক’টা রিল তৈরি হল, ক’টা ছবি পোস্ট হল, ক’টা হল পেল— সব নিয়েই চিন্তা করছে সকলে। আমি মনে করি, এগুলো আমার কাজ নয়, আমার কাজ শুধু অভিনয় করা।
প্রশ্ন: কিন্তু ‘হত্যাপুরী’র সঙ্গে তো আরও বেশ কয়েকটা বড় ছবি মুক্তি পাচ্ছে। ক’টা হল পাবেন, সেটা নিয়ে একটুও দুশ্চিন্তা হচ্ছে না?
ইন্দ্রনীল: না, বাকিগুলো তো একদমই অন্য ঘরানার ছবি। তাই প্রতিযোগিতার প্রশ্নই ওঠে না। যে সপ্তাহে অনেকগুলো ছবি মুক্তি পায়, আমি কিন্তু সবগুলোই দেখি। শুধু একটাই ছবি দেখার পয়সা আছে মানুষের কাছে, এমন তো নয়। হয়তো তাঁরা কোনও একটি ছবিকে প্রাধান্য দেবেন। কিন্তু যদি ভাল ছবি হয়, লোকমুখে শুনে দু’দিন পর ঠিক ছবিটা দেখতে যাবেন। অভিনেতা হিসাবে চাইব, সব ছবিই চলুক। না হলে আমার আর কী লাভ! আমার ছবিটা শুধু চলল, বাকিগুলো চলল না, এতে তো ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি হবে। তার চেয়ে আমার ছবিটা বাকিগুলোর চেয়ে যদি একটু কম হিট হয়, কিন্তু সব ছবিই চলে, তবেই সেটা আমার জন্য ভাল হবে।
প্রশ্ন: এত কম বাংলা ছবি করেন কেন?
ইন্দ্রনীল: সেটা তো নির্মাতাদের উপর। আমারও মনে হয় যে, আমার আরও বেশি সংখ্যায় ভাল কাজ পাওয়া উচিত। কেন পাই না, ঠিক জানা নেই। আমি বোধহয়, খুব বেশি আমার মতো। হয়তো সে কারণে অনেকেরই আমার সঙ্গে কাজ করাটা সুবিধার মনে হয় না। তবে আমি নিজেকে নিয়ে খুশি। যদি আমার মতো হওয়াটাই কম কাজ পাওয়ার কারণ হয়ে থাকে, তা হলে আমি সেটা মেনে নিতে রাজি আছি। নিজেকে বদলে অনেক কাজ পেলাম, এ দিকে, নিজেকেই পছন্দ হচ্ছে না, তেমনটার প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন: আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই এখন চর্চা বেশি হয়...।
ইন্দ্রনীল: যে কোনও প্রশ্ন করাটা আপনার কাজ, কিন্তু উত্তর দেওয়া, না দেওয়াটা আমার উপর। আমি কেন আমার বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেব। আমার কাজটা সকলের জন্য। কেউ যদি আমার কাজের নিন্দে করেন, আমার হয়তো খারাপ লাগবে, আমি হয়তো সেটা নাকচও করে দেব। কিন্তু কখনও বলতে পারব না যে, কেন বলছে। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবনটা সকলের জন্য নয়। আমি কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে একদমই অভিনেতা ইন্দ্রনীলের মতো ব্যবহার করি না। অভিনেতা হিসাবে বেশ কিছু সুবিধা পাওয়া যায়, কিন্তু আমার সেগুলোও চাই না। অনেকে তো বিমানবন্দরে শেষ মুহূর্তে গিয়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে প্লেনে উঠে যায়। আমি সেটা করি না। সময়ের আগে পৌঁছে সাধারণ মানুষের মতোই যাই। যখন আমি চেষ্টা করি যে সাধারণ ভাবে জীবনযাপন করব, তখন সেই জীবনের কতটুকু আমি জনসমক্ষে তুলে ধরব, সেটা আমার ব্যাপার। আমি কত বার বাথরুমে গেলাম, বেডরুমে কী করলাম, সেগুলো জিজ্ঞেস করলে আমি কেন উত্তর দেব!
প্রশ্ন: এ সব নিয়ে বিরক্ত হয়েই কি খবর বিশেষ পড়েন না?
ইন্দ্রনীল: আগে যখন বাংলায় বেশি কাজ করতাম, তখন কলকাতায় একটা বাড়ি ছিল। অনেক বছর হল আমি বাড়িতে কাগজ রাখা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। মানুষের প্রবণতাই কাগজ খুলে পড়ে দেখা। দেখতাম হয়তো এই ছবিতে একে নেওয়া হচ্ছে, ওই ছবিতে ওকে নেওয়া হচ্ছে। তখন খারাপ লাগত, মনে হতো আমায় কেউ নিচ্ছে না। ভেবে দেখলাম, কী করে এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বাঁচানো যায়। হয়তো আমি প্রযোজকদের ফোন করে জিজ্ঞেস করতে পারতাম, ওই চরিত্রে আমায় কেন আমায় ভাবা হল না। কিন্তু আমি কোনও দিন কাউকে ফোন করে কাজ চাইতে পারি না। এটা আমার ইগো নয়, আত্মসম্মানে বাঁধে। আমি তো নতুন নই, সকলে চেনে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। কারও দরকার পড়লে ডাকবে, না হলে ডাকবে না। তাই কাগজ রাখাই ছে়ড়ে দিলাম। কারণ এ সব তথ্য জানলেই সমস্যা হত। আসল ব্যাপারটি কী বলুন তো?
প্রশ্ন: কী?
ইন্দ্রনীল: আমাদের বেশির ভাগ দুঃখ আমি কী করতে পারলাম না, তা নিয়ে নয়, বরং অন্যরা কী করে ফেলল, তা নিয়ে। আমি আজ একটা ছবি করে পরের তিন মাস কোনও ছবি না করলেও অসুবিধা তেমন হবে না। কিন্তু যখন দেখব যে, অন্য এক অভিনেতা পরের তিন মাসে চারটে ছবি করে ফেলল, তখনই মাথার মধ্যে নানা রকম ভাবনা আসবে। মনে হবে, আমায় কেউ নিচ্ছে না, সব কাজ ও পেয়ে গেল, ও নিশ্চয়ই কিছু করছে! তাই নিজেকে এ সব থেকে মুক্ত রাখতে ঠিক করলাম আমার এত তথ্যের দরকার নেই। সোশ্যাল মিডিয়া আসার পরও এক পথে হেঁটেছি। বহু দিন হল ফেসবুক-টুইটার থেকে সরে এসেছি। ইনস্টাগ্রামে আছি, কারণ ওখানে ছবিটাই প্রাধান্য পায়। তা-ও যদি কেউ কিছু বলে আমি টুক করে ব্লক করে দিই।
প্রশ্ন: ইনস্টাগ্রামে আপনার মেয়ের অনেক ছবি দেখা যায়। মেয়ে কি বুঝছে তার বাবা ফেলুদা হতে চলেছে?
ইন্দ্রনীল: না ও ফেলুদাকে চেনে না। তবে জানে যে, বাবা একটা চরিত্র পেয়ে খুব এক্সাইটেড। ও বাংলা তো পড়তে পারেই না, ইংরেজিতে ফেলুদার বই কিনে দিলে পড়বে কি না জানি না। এমনিতেই কম পড়ে, ইংরেজিটাই জানে। বাংলা-হিন্দি কিছু শেখেনি। সেটা অবশ্য আমাদেরই দোষ। ইংরেজি শেখাতে গিয়ে বাকি ভাষাগুলোর উপর জোর দিইনি। আজকাল তো ইংরেজিতেই সব কাজ হয়। আরও একটু বড় হলে যদি শেখে, তা হলে ভাল। যদি না শেখে, তা হলেও ঠিক আছে। তবে যদি অভিনেত্রী হয় ভবিষ্যতে, যদি বাংলায় অভিনয় করে, তখন তো ভাষাটা শিখতেই হবে। তবে চাইব না ও অভিনয়ে আসুক।
প্রশ্ন: কেন?
ইন্দ্রনীল: অন্য কিছু করলেই বেশি খুশি হব। এই পেশায় বড্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়। সেটা চাই না। নিরাপদে সরকারি চাকরি করুক, তেমনও বলছি না। অন্য রকম কিছু করতে পারে। তথ্যচিত্র বানাতে পারে, ফোটোগ্রাফার হতে পারে, সাংবাদিক হতে পারে। এ বার যদি ভাগ্যে লেখা থাকে অভিনয়, তখন তো কিছু করার থাকবে না।
প্রশ্ন: আপনার নিজের নিরাপত্তাহীনতাগুলো কী ভাবে সামলান?
ইন্দ্রনীল: আমি কোনও দিন মডেল হতে চাইনি, হয়ে গিয়েছি। তার পর কখনও অভিনেতা হতে চাইনি, তা-ও হয়ে গেলাম। আসলে আমি কোনও কিছু পিছনে দৌড়াই না। অভিনেতা হওয়ার পর প্রথম কয়েক বছর খুব শখ ছিল হিরো হব। তার পর সেটাও চলে গেল। শিল্পটাকে ভালবেসে ফেললাম। অভিনেতা হিসাবে আরও দক্ষ হওয়ার ইচ্ছেটা বাড়ল। আমি অনেক আগে থেকেই মাল্টিকাস্ট ছবিতে করছি, চরিত্রাভিনেতা হিসাবে কাজ করেছি, প্রচুর খলচরিত্র করেছি। কম বয়সেও কখনও নায়ক হওয়ার শখ ছিল না, এখন তো আরও নেই। তাই আমার সব বিষয়ে চাপ কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy