বড় পর্দার পরে ছোট পর্দায় অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্যামেরা সুন্দর মুখ পছন্দ করে, পরিচালক রাজর্ষি দে-ও। সেই সুবাদে তাঁর ছবি ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ দিয়ে বড় পর্দায় প্রথম পা রাখেন কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজর্ষির আগামী ছবিতেও তাঁকে দেখা যাবে। পাশাপাশি, দেবের ‘প্রধান’ ছবিতেও অতিথি চরিত্রে দেখা গিয়েছে। বড় পর্দার পাশাপাশি এ বার ছোট পর্দাতেও তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নতুন ধারাবাহিক ‘মিত্তির বাড়ি’ আসছে জি বাংলায়। আনন্দবাজার অনলাইনকে অনন্যা জানিয়েছেন, তিনি সেই বাড়ির বড় বৌ।
লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরা-অ্যাকশন শব্দগুলো নেশা ধরিয়ে দিয়েছে? প্রশ্ন ছিল তাঁর কাছে। অনন্যার সহাস্য জবাব, “শুরুতে ভয় ছিল, পারব তো? বলতে পারেন, নিজেকেই নিজে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলাম। কারণ, কাউন্সিলরের কাজ তাঁর ওয়ার্ডের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু।” সে সব সামলে প্রথম ছবিতে ভাল ভাবে কাজ করার পর ভাবলেন, তা হলে ‘নেশা’ হিসাবে অভিনয়কে বাছবেন না কেন? সেই ভাবনা নিয়েই ছোট পর্দাতেও পা রাখতে চলেছেন। বাড়তি আকর্ষণ প্রসেনজিতের প্রযোজনা সংস্থা। এখানে তিনি শঙ্কর চক্রবর্তীর স্ত্রী।
সামান্য আক্ষেপ অবশ্য ঝরে পড়ছে তাঁর কথায়, “সেই পাকেচক্রে অভিনয় জগতে এলাম। আরও আগে এলে শুরুটা অন্য রকম হত। আপাতত যা পেয়েছি তাতেই খুশি। শঙ্করদাও আমার চেনাজানা। আমার ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা।” একটু থেমে রসিকতা করেছেন, “যাঁরা জেনেছেন তাঁরা মজা করে বলছেন, ‘তুমি শঙ্করদার বৌ!’ আমি ওঁকে বলেছি, তুমি তো আমার ওয়ার্ডের লোক। আমি ওয়ার্ডের সব কিছু সামলে দেব। তুমি আমায় সামলে দিয়ো। শঙ্করদা শুনে হেসে ফেলেছেন।”
ধারাবাহিকের কাজ সাত দিন, প্রায় রাত-দিন। রাজনৈতিক কাজের ক্ষতি হবে না?
১০৯ নম্বর কাউন্সিলরের ফের রসিকতা, “ওই জন্যই তো শঙ্করদার বৌ হতে রাজি হয়েছি। এতে রোজ শুটিংয়ে আসতে হবে না। কাজ করতে করতে বিষয়টা আরও ভাল করে বুঝতে পারব।” আপাতত ধারাবাহিকের প্রচার ঝলক ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে রাজর্ষির নতুন ছবির শুটিং। অনন্যা এ ছবির চার জন নায়িকার এক জন। জানালেন, আগামী মাসে শুটিং শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy