মুখোপাধ্যায় পরিবার আশ্রয় দিয়েছিল পিতৃ-মাতৃহীন রাজাকে। সেই পরিবারের মেয়ের প্রতি দীর্ঘ দিন ধরে মনে মনে ভালবাসা লালন করলেও কৃতজ্ঞতার ভারে তা চাপা পড়ে যায়। মাম্পির প্রেম প্রত্যাখ্যান করে সে।
০৪১৫
ছবি বদলাতে শুরু করেছিল নোয়া-কিয়ানের বিয়ের সময় থেকে। একটু একটু করে কাছে আসতে থাকে দু’জন। প্রত্যাখ্যানের অভিমান ভুলে আবার রাজার কাছেই যেন আত্মসমর্পণ করে ফেলছিল মাম্পি।
০৫১৫
এ ভাবেই ঢিমে আঁচে বেড়ে ওঠে তাদের ভালবাসা। কিন্তু আশ্রিত রাজার সঙ্গে বাড়ির মেয়ের বিয়ে নিতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা।
০৬১৫
বিয়ে ভাঙতে ডেকে আনা হয় রাজার প্রাক্তন সহপাঠী কৃপা বসুকে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজা তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল বলে দাবি করে কৃপা। এই অভিযোগের জেরে তাকে বিয়ে করার জন্য রাজি হতে হয় রাজাকে, অন্য দিকে মাম্পিও দূরে সরে যায় তার থেকে। জীবনে ধেয়ে আসা আচমকা ঝড়ে ভেঙে পড়ে রাজা। আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।
০৭১৫
রাজার বিরুদ্ধে চলতে থাকা এই ষড়যন্ত্র ফাঁস করেন ধারাবাহিকের দুঁদে পুলিশ কর্তা অভিমন্যু। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে ভালবাসাকে পূর্ণতা দেয় রাজা। মাম্পিকে স্ত্রী হিসেবে পায় সে।
০৮১৫
‘রাজমা’ (রাজা এবং মাম্পিকে একসঙ্গে এই নামেই ডাকেন রাহুল)-র বিয়ের পর্ব দেখে আনন্দ ধরে রাখতে পারেননি তাদের অনুরাগীরা। কাল্পনিক দুই চরিত্রের মিলনে নেটমাধ্যম ভেসে যায় শুভেচ্ছাবার্তায়।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ছেয়ে যায় পর্দায় তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থার ছবিতে। মিম স্রষ্টারা আবার সেই সব ছবি নিয়ে তাঁদের কারিকুরিও শুরু করে দেন। যার সারমর্ম, পরিবারের সঙ্গে এই ধারাবাহিক দেখতে বসে লজ্জায় পড়তে হচ্ছে অনেককেই।
১১১৫
কেউ কেউ আবার নীতিপুলিশি করেছেন নির্দিষ্ট সেই দৃশ্য নিয়ে। রাজার ভূমিকায় রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও মনে করেন, পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে 'গেল গেল' রব তোলার কিছু নেই। এর আগেও এমন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি।
১২১৫
এক দিকে যখন পর্দায় দু’জনের রসায়ন নিয়ে তোলাপাড়, ঠিক তখন টলিপাড়ায় গুঞ্জন, প্রেম করছেন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় (রাজা) এবং রুকমা রায় (মাম্পি)। ধারাবাহিকের প্রেমের জল নাকি গড়িয়েছে বাস্তবেও।
১৩১৫
আনন্দবাজার অনলাইনকে এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে রুকমা বলেছিলেন, “রাহুলদার সঙ্গে আমার প্রেম নেই। ভাল বোঝাপড়া আছে।” ‘মাম্পি’-র মতে, সেই বোঝাপড়ার প্রতিফলনই পর্দায় দেখেন দর্শক।
১৪১৫
অন্য একটি সাক্ষাৎকারে রুকমার কথার রেশ টেনে রাহুল বলেছিলেন, “রুকমা আমার চেয়ে ১০ বছরের ছোট বাচ্চা মেয়ে। ওকে খুব ভালবাসি আমি। কিন্তু আমাদের প্রেম নেই। তবে, শটের বাইরে ওর সঙ্গে বন্ধুত্ব আছে।” অর্থাৎ সহ-অভিনেত্রীর মতো তিনিও নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন প্রেমের গুঞ্জন।
১৫১৫
কিন্তু নিছক বন্ধুত্ব থেকেই কি এই রসায়ন? নাকি সকলের আড়ালে অন্য কোনও গল্প বুনছেন রাহুল-রুকমা? উত্তর খুঁজছেন তাঁদের অনুরাগীরা।