স্বামীর মতোই সুরসিকা মদন-পত্নীও।
আক্ষরিক অর্থেই তিনি ‘দিদি নং ১’! রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় পারেন না এমন কোনও কাজ বোধ হয় নেই।
যখনই যে অনুষ্ঠানে মদন মিত্র গিয়েছেন, তাঁর ডাইনে-বাঁয়ে শহরের সেরা সুন্দরীদের ভিড়। কিন্তু তাঁর স্ত্রী অর্চনা মিত্রকে কখনও দেখা যায়নি। সেই অসাধ্যও সাধন করলেন জি বাংলার বিখ্যাত সঞ্চালিকা। তাঁর রিয়্যালিটি শো-তে এই প্রথম সস্ত্রীক দেখা গেল কামারহাটির বিধায়ককে। মঙ্গলবার লাইভ সম্প্রচারে এসে সে কথা স্বীকারও করেছেন তিনি? জানিয়েছেন, রচনার সৌজন্যে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী এক মঞ্চে, এক অনুষ্ঠানে। সে দিক থেকেও ইতিহাস গড়ল রিয়্যালিটি শো-এর মঞ্চ। একই সঙ্গে মিষ্টি অনুযোগ, ‘‘অপেক্ষায় ছিলাম, কবে রচনার শো-তে ডাক পাব! অভিমানও হত, রাজনীতি করি বলেই কি আমাদের ডাকেন না রচনা? আজ আর আমার কোনও অভিমান নেই!’’
স্বামীর মতোই সুরসিকা মদন-পত্নীও। তাঁকে রচনার প্রশ্ন, ‘‘দাদার চারপাশে এত সুন্দরীদের ভিড়। আপনি কখনও থাকেন না। ভয় হয় না?’’ উত্তরে অর্চনার টানটান জবাব, ‘‘ঘুড়ি যতই উড়ুক, লাটাই তো আমার হাতে!’’ সঙ্গে সঙ্গে বিধায়কের ঠোঁটে বিখ্যাত সংলাপ, ‘‘ওহ! লাভলি...।’’
ইতিহাস এই একটি নয়, আরও গড়েছেন রচনা। মদন মিত্রের সঙ্গে তাঁর মঞ্চে হাজির সদ্য শাসকদলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়ও। তিনিও স্ত্রী রচনা শর্মাকে সঙ্গে নিয়েই এসেছেন। বাবুলের রসিকতা, ‘‘এত সুন্দরী নায়িকা। আমি রচনার অন্যতম গুণমুগ্ধ। ওই জন্যেই রচনা নামের মেয়েকেই বিয়ে করেছি!’’ এই দুই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন দুই খ্যাতনামী শিল্পী দম্পতি। আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত সস্ত্রীক রাঘব চট্টোপাধ্যায়, এবং শিবাজি চট্টোপাধ্যায়ও।
ইংরেজি বছর ফুরোতে হাতোগোনা আর কয়েকটি দিন। ছোট পর্দায় ইতিমধ্যেই উদযাপনের আবহ। ‘দিদি নং ১’-এ চড়ুইভাতির আমেজ। তারই অঙ্গ হিসেবে ২১ ডিসেম্বর বিশেষ পর্বে সাজছে রিয়্যালিটি শো। সেখানে গান, আড্ডা, গল্পে মাতবেন চার তারকা দম্পতি। অতি সম্প্রতি বাবাকে হারিয়েছেন রচনা। পারলৌকিক অনুষ্ঠানে রচনার বাড়িতে এসেছিলেন মদন মিত্র। রিয়্যালিটির বিশেষ পর্বে রচনার সাজেও বৈচিত্র। ‘দিদি নং ১’-এর পরনে সাদা ডিজাইনার ব্লাউজ, নীল শাড়ি!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy