ছবি দেখতে গিয়ে ‘দেশদ্রোহী’ তকমা জুটল পরিচালক সোনালি বসুর কপালে। ছবি: সংগৃহীত।
ছবি দেখতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন পরিচালক। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি প্রেক্ষাগৃহে ‘অফওয়া’ ছবিটি দেখতে গিয়েছিলেন বলিউড পরিচালক সোনালি বসু। প্রেক্ষাগৃহে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন নাকি আসন থেকে উঠে দাঁড়াননি ‘দ্য স্কা ইজ় পিঙ্ক’ খ্যাত পরিচালক। এই ‘অপরাধ’-এর জন্য ‘দেশদ্রোহী’ তকমা জুটল সোনালির কপালে। যদিও তাতে দমে যাওয়ার পাত্র নন তিনি। বরং সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে যোগ্য জবাব দেন সোনালি।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় গোটা ঘটনার কথা জানান সোনালি। তিনি বলেন, ‘‘প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে আমি খুব ভালবাসি। তবে যে জিনিসটা আমার একেবারেই পছন্দ নয়, সেটা হল প্রেক্ষাগৃহে এই জাতীয় সঙ্গীত চালানোর সংস্কৃতি। আপনাকে জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে পতাকার দিকে তাকিয়ে। এটা আসলে জাতীয়তাবাদ জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার একটা কৌশল। আমি প্রথম থেকে কোনও দিন এটা মানিনি। আমি যাঁদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাই, তাঁরাও মানতে চান না। তবে, তাঁরা দাঁড়ান যাতে কোনও জটলা না হয়। আমার সঙ্গে এই প্রথম এই নিয়ে একটা সমস্যা হল।’’
প্রায় চার মিনিট দীর্ঘ এই ভিডিয়োয় সোনালি জানান, জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন উঠে না দাঁড়ানোয় পিছন থেকে এক ব্যক্তি নাকি চিৎকার করে তাঁকে ‘দেশদ্রোহী’ বলছিলেন। দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদ একেবারেই আলাদা এবং তিনি এই জোর করে চাপিয়ে দেওয়া জাতীয়তাবাদকে একেবারেই সমর্থন করেন না, জানান ‘দ্য স্কাই ইজ় পিঙ্ক’ পরিচালক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য’ কবিতার কয়েকটি লাইন বলে নিজের কথা শেষ করেন সোনালি।
সোনালির দাবি, ‘‘আমি মনে করি না প্রেক্ষাগৃহটা দেশপ্রেম দেখানোর জায়গা। এখানে মানুষ মনোরঞ্জনের জন্য আসেন। পপকর্ন খেতে খেতে উঠে দাঁড়িয়ে দেশপ্রেম আমি দেখাতে পারব না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘দেশপ্রেম একটা বোধ, এটা সাধারণ মানুষকে সরকারকে প্রশ্ন করতে শেখায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy