মুক্তির আগে থেকেই একাধিক বিতর্কে জর্জরিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবি: সংগৃহীত।
এখনও মুক্তি পেতে বাকি দিন কয়েক। মুক্তির আগে থেকেই চর্চায় সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। ছবির ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র ট্রেলারে দাবি করা হয়েছে যে, কেরলের ৩২ হাজার জন মহিলা নিখোঁজ। পরে তারা জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এ যোগ দেয়। ছবির ট্রেলারের ওই দাবি ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। ছবির মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মানসিকতা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, এই মর্মে শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল ও নিজ়াম পাশা। মঙ্গলবার সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালতে দুই আইনজীবী সওয়াল করেন, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিতে সব থেকে নিম্নমানের বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলা হয়েছে। তাঁরা আরও দাবি করেন, এই ছবি আদপে প্ররোচনামূলক। আইনজীবীদের সওয়ালের পরে তাঁদের আর্জি খারিজ করে দেয় বিচারপতি কেএম জোসেফ ও বিচারপতি বিভি নাগারত্নর বেঞ্চ। বিচারপতির তরফে জানানো হয়, ‘‘বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের রকমফের হয়। এই ছবিকে সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিয়েছে। এমন তো নয় যে, এক জন মঞ্চে উঠে দাঁড়িয়ে ঘৃণাভাষণ দিচ্ছেন! যদি এই ছবিকে চ্যালেঞ্জ করতে হয়, তা হলে উপযুক্ত রাস্তায় সেন্সর বোর্ডের সেই শংসাপত্রকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে।’’ বিচারপতিদের বেঞ্চের রায়ের পরে আইনজীবী সিব্বল জানান, পরামর্শ মেনে তিনি উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবেন।
ছবি নির্মাতাদের এই দাবির বিরোধিতা করে আগেই মুখ খুলেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। শুধু তাই নয়, এই ছবি তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, ধর্মনিরপেক্ষ এই রাজ্যকে সন্ত্রাসবাদের রাজধানী হিসাবে তুলে ধরাই এই ছবির নির্মাতাদের আসল উদ্দেশ্য। বিজয়নের দাবি, এই ছবি তৈরির নেপথ্যে রয়েছে সঙ্ঘ পরিবারের ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি। তাঁর আরও অভিযোগ, সঙ্ঘ পরিবার কেরলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করছে। ছবির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন, “এ আপনাদের কেরল স্টোরি হতে পারে, আমাদের নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy