ছবিতে বিজয়ের চরিত্রের নাম ইরশাক, আসলে সে খ্রিস্টান, ধর্মান্তরিত হয়ে যোগ দেয় আইসিস-এ। ছবি—সংগৃহীত
‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে দেশ জুড়ে নিন্দেমন্দ এবং সাধুবাদ, দুই-ই জুটছে। বিতর্কের মধ্যেও ইনিংস চলছে ভালই। বক্স অফিসে ১০০ কোটির অঙ্ক ছুঁতে চলেছে ছবিটি। চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, দেশের বক্স অফিসে এই ছবির আয় ২০০-২৫০ কোটি টাকাও হতে পারে। এই আবহে ছবির অভিনেতা বিজয় কৃষ্ণ জানালেন, কেরলের অনেক মানুষ তাঁদের বার্তা পাঠিয়েছেন, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’তে চিত্রায়িত ঘটনা একেবারে সত্যি।
সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ছবিটিতে আইসিস-এর জঙ্গির চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিজয়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ছবিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নানা জায়গা থেকে তিনি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন। এমন অনেকের বার্তা পাচ্ছেন, যাঁরা নিজেদের কাছাকাছি এলাকায় এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন।
ছবিতে দেখানো হয়েছে, কেরল রাজ্যের বেশ কিছু মহিলাকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান, যোগ দেন আইসিস-এর মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে।
বিজয় কৃষ্ণ বলেন, “ছবির প্রতিক্রিয়া যে ইতিবাচক, বক্স অফিস সংগ্রহ থেকেই তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। মানুষ ছবিটা নিয়ে কথা বলছেন, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। ছবিটার সঙ্গে অনেকেই নিজেদের যোগ খুঁজে পেয়েছেন।”
নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে অভিনেতা জানান, ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ইরশাক। আসলে সে খ্রিস্টান, ধর্মান্তরিত হয়ে যোগ দেয় আইসিস-এ।
ছবির বিষয়বস্তু তিনি নিজে বিশ্বাস করেন বলেই জানালেন অভিনেতা।
বিজয়ের কথায়, “আমি নিজেও এটা বিশ্বাস করি। যদি এক জন বা দু’জনের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটে থাকে, তাতেও এটা নিয়ে কথা বলা উচিত, যা এই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ করেছে।”
অভিনেতা হিসাবে চরিত্রটি করা তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল বলেই জানান বিজয়। তবে জানান, এই ছবি যে এত বিতর্কিত হয়ে উঠবে, তা তিনি বুঝতে পারেননি। কেউই পারেননি।
তাঁর চরিত্র দেখে দর্শকের প্রতিক্রিয়াও ইতিবাচক বলে জানান তিনি। পর্দায় তাঁর চরিত্রটিকে অনেকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখেছেন। পরে ব্যক্তি বিজয়ের প্রোফাইলে গিয়ে তাঁদের ধারণা পাল্টেছে বলে জানান অভিনেতা।
বিজয়ের মতে, সত্যি চাপা থাকে না। শেষ অবধি মানুষ বাস্তব আর ছবির দুনিয়ার তফাতটা ধরতে পেরেছেন। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ছবিটি সবাই দেখবেন বলে আশা করেন অভিনেতা। তাঁর মনে হয়, ছবিটি দেখেই সকলের সিদ্ধান্তে আসা উচিত, এটি ভাল, না কি খারাপ ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রশংসা করেছেন ছবিটির। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে। আবার বহু রাজ্যে ছবিটি প্রদর্শনে সমস্যা হচ্ছে। তামিলনাড়ুর প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরানো হয়েছে ছবিটি। পশ্চিমবঙ্গে একেবারে সেটিকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
তবে ছবির পরিচালক সুদীপ্ত এবং কলাকুশলীরা সকলকে অনুরোধ করেছেন ছবি দেখে তবেই সিদ্ধান্তে আসতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy