অর্থসঙ্কট তৈরি করেছে অতিমারী। প্রতীকী চিত্র।
রুপোলি পর্দার মানুষগুলির জীবন যতখানি রঙিন, বোধ হয় তার উল্টো দিকে অপেক্ষা করে থাকে ততখানিই অন্ধকার। গত কয়েক বছরের অতিমারী পরিস্থিতি সেই দিকটি আরও বেশি করে তুলে ধরেছে।
সম্প্রতি অভিনেতা সঞ্জয় গান্ধী তাঁর জীবনের এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন। হিনা খানের ‘ইয়ে রিশ্তা ক্যা কহলাতা হ্যায়’ ধারাবাহিকে দাদাজির ভূমিকায় অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পেয়েছিলেন সঞ্জয় গান্ধী। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, অতিমারীর সময় থেকে তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বাড়িভাড়া মেটানোর সামর্থ্য পর্যন্ত তাঁর নেই। এমনকি মরিয়া হয়ে তিনি তাঁর মিরা রোডের একটি ফ্ল্যাট বন্ধক রাখার কথাও ভেবেছেন।
আসলে অতিমারী পরিস্থিতি সকলকে দেখিয়ে দিয়েছে বাস্তবটা ঠিক কতটা কঠিন। যাঁরা পরিস্থিতিটা বুঝতে পারেন না, তাঁদের জানানোর জন্যই সঞ্জয় তুলে ধরেছেন তাঁর ২০২১ সালের জুন মাসের অভিজ্ঞতা। প্রবীণ এই অভিনেতা জানিয়েছেন, সেই সময় হাতে কাজ ছিল না। রোজের খরচ চালানোও মুশকিল হয়ে গিয়েছিল।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেন, “এমনিতে অভিনেতাদের জীবন রঙিন, যত ক্ষণ তাঁরা কাজ করেন। এক বার হাতে কাজের অভাব হলেই মুশকিল, যে কোনও সময় পতন হতে পারে।”
তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘ঝনক’ শুরু হওয়ার পর তাঁর জীবন খানিকটা স্বাভাবিক খাতে বইছে। তিনি জানান, অভিনয় করার জন্য মুম্বইতে থাকা প্রয়োজন, আর সেটা খুবই খরচসাপেক্ষ। এ দিকে অভিনয় করা ছাড়া অন্য কোনও আয়ের উৎসও থাকে না। ফলে সমস্যায় পড়েন অভিনেতারা। তিনি আরও বলেন, “অনেক অভিনেতা অতিমারীর সময় কষ্টে ছিলেন। আমারও সমস্ত সঞ্চয় শেষ হয়ে যায় ওই সময়। আন্ধেরিতে বাড়ি ভাড়া করে থাকি। ভাড়া মেটানোর জন্য বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা ধার করতে হয়েছে। সেই সব মেটাতে আমাকে আমার বাড়ি বন্ধক রাখতে হবে। কারণ এখনও দারুণ অর্থকষ্টে আছি। নতুন কিছু কাজের কথাও ভাবতে হচ্ছে।”
সঞ্জয়কে দেখা গিয়েছে ‘নাগিন’ এবং ‘ইয়ে রিশ্তা ক্যা কহলাতা হ্যায়’-সহ বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy