Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Ambarish Bhattacharya

TV Serial: অম্বরীশের পুজোর ফুল ‘ভালবাসা’ হয়ে যেত? তৃণার হাত ছুঁত কে? রইল তারকাদের পুজো প্রেম

‘‘কেউ পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হাতে হাত ছুঁয়ে চলে যেত। সবটাই আমায় ঘিরে! বেশ লাগত।’’

পুজোর প্রেমের কথা ফাঁস করলেন তৃণা-অম্বরীশ।

পুজোর প্রেমের কথা ফাঁস করলেন তৃণা-অম্বরীশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২১ ১৭:২২
Share: Save:

অঞ্জলির ফাঁক গলে চোখে চোখ। প্রসাদ নেওয়ার ছুতোয় আলতো ছোঁয়াছুঁয়ি। তারকাদেরও কি পুজো প্রেম আছে? অতীতে বা এখন! বৃহস্পতিবার রাতে স্টার জলসার ফেসবুক পেজ তারই হদিশ দিল। সেখানেই ফাঁস অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য, তৃণা সাহা, সপ্তর্ষি মৌলিক, শ্রুতি দাসের জমজমাট পুজো প্রেম-কাহিনি।

‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের ‘পটকা’ দর্শকদের বেশ প্রিয়। চরিত্রাভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য এখনও অবিবাহিত। পুজোয় কোনও দিন কাউকে মনে ধরেনি? অভিনেতা অকপট বলছেন, ‘‘পুজোর চার দিন সব জায়গায় সকলের অবাধ যাতায়াত। পুজো প্যান্ডেলে সবার সঙ্গে সবার দেখা হচ্ছে। ধরা যাক, সেখানেই কোনও ফুলটুসিকে ভাল লেগে গেল।’’ ব্যস, অষ্টমীতে অঞ্জলির অর্ধেক ফুল তার উদ্দেশেই নিবেদিত! অভিনেতার কথায়, গায়ে ফুল পড়তেই ফুলটুসি ঘুরে তাকাত। আর কী! চোখাচোখি হতেই ভাললাগা শুরু অম্বরীশের। ফুলটুসিও কি একই ভাবে প্রেমে পড়ত? ‘পটকা’র আক্ষেপ, ‘‘আশা করতাম তেমনটাই হবে। কিন্তু হতো উলটো। ফুল গায়ে পড়তেই কটমটিয়ে ফিরে তাকাত সে!’’

‘খড়কুটো’র ‘গুনগুন’ ওরফে তৃণা সাহাও সোজাসাপ্টা। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘‘প্রেম না থাকলেও পুজোয় প্রেম হয়েই যেত ঠিক। অনেকেরই খুব ভাল লাগত আমায়। বুঝতে পারতাম। কেউ আড়চোখে দেখত। কেউ বা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হাতে হাত ছুঁয়ে চলে যেত। সবটাই আমায় ঘিরে! বেশ লাগত কিন্তু।’’ অভিনেত্রীর দাবি, এটাই হয়তো তাঁর ছেলেবেলার পুজো-প্রেম।

অষ্টমীর অঞ্জলি ঘিরে জমে যেত শ্রুতির পুজো প্রেম। অন্যদিকে পুজোর প্রেম ঘিরে এক মারাত্মক অভিজ্ঞতা’র কথা বললেন সপ্তর্ষি।

অষ্টমীর অঞ্জলি ঘিরে জমে যেত শ্রুতির পুজো প্রেম। অন্যদিকে পুজোর প্রেম ঘিরে এক মারাত্মক অভিজ্ঞতা’র কথা বললেন সপ্তর্ষি।

ধারাবাহিক ‘দেশের মাটি’র নায়িকা ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতিও কি তৃণার দলে? পুরোপুরি না হলেও কিছুটা তো বটেই, জানিয়েছেন তিনিই। শ্রুতির দাবি, অষ্টমীর অঞ্জলি ঘিরে জমে যেত তাঁর পুজো প্রেম। পাড়ার যে সুপুরুষ ছেলেটির তাঁকে পছন্দ বা তাঁর যাঁকে, দিব্যি এই সুযোগে চোখে চোখে ভাললাগার কথা বলা হয়ে যেত! দু’জনের ঠোঁটেই তখন হাল্কা হাসি।

সবচেয়ে মারাত্মক অভিজ্ঞতা ‘শ্রীময়ী’র ছেলে ‘ডিঙ্কা’ ওরফে সপ্তর্ষি মৌলিকের। সপ্তর্ষি তখন কলেজ পড়ুয়া। তখনকার প্রেমিকা তাঁর থেকে অনেকটাই লম্বা। পুজোর দিনে দুরুদুরু বুকে মনের কথা জানাতে বান্ধবীর মুখোমুখি। সেই সময় উপহার হিসেবে গ্রিটিংস কার্ড, ফুল আর চকোলেট দেওয়াই রীতি। সপ্তর্ষি সব গুছিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। সাহস জোগাতে এক দল বন্ধুও পিছু পিছু। প্রেমিকাকে সবে ভালবাসার কথা জানাতে শুরু করেছেন, আচমকা পিছনে ফিরলেন সপ্তর্ষি। কেউ নেই! পিছু হটতে হটতে কখন যেন বন্ধুরা সব ভোঁ-কাট্টা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy