ক্রিসের সঙ্গে
আজ থেকেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে ক্রিস হেমসওয়র্থের ছবি ‘এক্সট্র্যাকশন’। বাংলাদেশকে প্রেক্ষাপট করে ছবিটি তৈরি হলেও শুটিং হয়েছে আমদাবাদ, তাইল্যান্ডে। আর সেই শুটিংয়েই পৌঁছে গিয়েছিল কলকাতার তিন টিনএজার। ক্রিসের পাশে তারা অভিনয় করেছে ছবিতে। ট্যাংরা অঞ্চলে বেড়ে ওঠা সুজয়, সুরজিৎ বা রাজুর পক্ষে ক্রিস থর হেমসওয়র্থের স্টারডম বোঝা সম্ভব নয়। অভিনেতার ছবিও আগে দেখেনি তারা। কিন্তু ক্রিসের আন্তরিকতায় তারা আপ্লুত।
ট্যাংরা অঞ্চলে ৩০ জনের একটি দল রয়েছে সঞ্জয় মণ্ডলের। বাতিল করে দেওয়া জিনিস বা থালা, বাটি, কৌটো বাজিয়ে মিউজ়িক করে এই গ্রুপের সদস্যরা। সঞ্জয়ের এই দল পারফর্ম করেছে ‘ইন্ডিয়াস গট ট্যালেন্ট’-এও। এই দলেরই সদস্য সুজয় মণ্ডল, সুরজিৎ মণ্ডল, রাজু সাঁতরা। এর আগে তারা পাভেলের ‘বাবার নাম গান্ধীজী’ এবং মনোজ মিশিগানের ‘আমি জয় চ্যাটার্জি’তে অভিনয় করেছে। কিন্তু হলিউডের প্রজেক্টের জন্য ডাক আসতে পারে, এমনটা স্বপ্নেও ছিল না। তার উপরে বিদেশ যাওয়া, সেখানকার বিলাসবহুল হোটেলে থাকা-খাওয়া, শুটিং করা... সবটাই যেন অলীক! তিনজনের দেখভালের দায়িত্ব সঞ্জয়ের। মূলত তাঁর উদ্যোগেই সব কিছু। সঞ্জয়ের কথায়, ‘‘ট্যাংরার মতো অঞ্চল থেকে উঠে এসে কিছু করাটাই চ্যালেঞ্জ। আর হলিউডের প্রজেক্টে কাজ করার ভাবনা তো দূরদূরান্তেও ছিল না। কিন্তু আমাদের ছেলেরা যে পরিচিতি পাচ্ছে, স্বীকৃতি পাচ্ছে এটাই পাওনা।’’ ক্রিসের সঙ্গে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রায় এক মাস ধরে তাইল্যান্ডে থাকা নিয়েই বেশি উত্তেজিত খুদে অভিনেতারা।
শুধু বাতিল সামগ্রী নয়, এখন আসল ইনস্ট্রুমেন্টও বাজাতে শিখেছে রাজু-সুরজিতেরা। এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সুজয় পড়ে বেলেঘাটা শান্তি সঙ্ঘ বিদ্যায়তনের ক্লাস এইটে। বাকি দু’জন ওই স্কুলেরই ক্লাস ইলেভেনে। থরের গল্প না জানলেও, প্রথম বার সুপারহিরোকে সামনে থেকে দেখে মুগ্ধ তারা।
শুধু ভাল ব্যবহারই নয়, ক্রিস তাদের সঙ্গে আড্ডাও দিতেন। নেটফ্লিক্সে আজ থেকে ‘এক্সট্র্যাকশন’-এর স্ট্রিমিং শুরু হলেও সকলে একসঙ্গে বসে ছবিটা দেখতে চায়। ঠিক হয়েছে রবিবার সকলে মিলে ছবিটা দেখা হবে। তাই সঞ্জয়, সুরজিৎ, রাজুরা এখন অধীর রবিবারের অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যেই বন্ধুদের ডেকে মদ্যপানের আয়োজন অনিতা রাজের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy