Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

শঙ্কুর সঙ্গে আমাজ়ন সফরে

ছবির শুটিংয়ে দু’বার আমাজ়ন ভ্রমণ টিম ‘শঙ্কু’রছবির কলাকুশলীর থাকার বন্দোবস্ত ছিল মানাউসে। ব্রেকফাস্ট সেরে টিম রওনা দিত আমাজ়নের উদ্দেশে।

ছবির টিমের সঙ্গে ধৃতিমান

ছবির টিমের সঙ্গে ধৃতিমান

নবনীতা দত্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৩২
Share: Save:

শঙ্কু মানেই বিশ্বভ্রমণ। সুতরাং ছবির শুটিংয়ে বিদেশি লোকেশন যে প্রাপ্তি হবে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল্‌ ডোরাডো’ ছবির কিছুটা শুটিং দেশে হলেও সিংহভাগই হয়েছে আমাজ়নে।

‘‘প্রোফেসর শঙ্কুর চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাওনা তো বটেই। তবে উপরি পাওনা আমাজ়নের জঙ্গলে শুটিং। ব্রাজিল ঘুরতে যাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু আমাজ়নের জঙ্গলের ভিতরে যাওয়া একটা বিশেষ ব্যাপার,’’ বললেন ‘শঙ্কু’ ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়।

ছবির কলাকুশলীর থাকার বন্দোবস্ত ছিল মানাউসে। ব্রেকফাস্ট সেরে টিম রওনা দিত আমাজ়নের উদ্দেশে। সে প্রাতরাশের বর্ণনা দিলেন ছবির নকুড়বাবু অর্থাৎ শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, ‘‘একদিন সকালে খেতে বসেছি। ট্যাপিওকা পরিবেশন করা হল। নতুন খাবার, খুব আগ্রহ নিয়ে অনেকটা মুখে পুরে দিলাম। ব্যস! সে যে কী বিকট স্বাদ, বলে বোঝাতে পারব না। টেবিলে স্থানীয়রাও বসে। না পারছি ফেলতে, না পারছি গিলতে। সে দিনই শিক্ষা হয়েছিল। তার পর থেকে বুঝেশুনে খেতাম।’’

প্রাতরাশ শেষে এক বিশালাকার লঞ্চে রিও নেগ্রো নদী পার হয়ে যেতে হত আমাজ়নে। গভীর সে নদী কুমির, পিরানহার মতো রাক্ষুসে মাছের আস্তানা। একদিন স্থানীয় টেকনিশিয়ানরা সেই পিরানহা ধরেছিলেন। তীরে পৌঁছে জঙ্গলের অনেকটা ভিতরে গিয়ে শুরু হত শুটিং। পোকামাকড়ে ভরা সে জঙ্গলে অভিনয় করাও ছিল নতুন অভিজ্ঞতা। পরিচালক সন্দীপ রায় অবশ্য বললেন, ‘‘তেমন কোনও হিংস্র জন্তু জানোয়ারের সম্মুখীন হতে হয়নি। বরং বিদেশি কলাকুশলী নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল একদম অন্য রকম।’’

শুভাশিস বলছিলেন, ‘‘শট দেওয়ার আগে ভাল করে চারপাশ দেখে নিতাম, কোনও জন্তু জানোয়ার বেরিয়ে এল না তো?’’ লাঞ্চ ব্রেকে জঙ্গলেই খাওয়াদাওয়া হত। কখনও বা খাবারবোঝাই দোতলা লঞ্চের ছাদেও মধ্যাহ্নভোজ সারতেন তাঁরা। রোদ পড়ে এলে সব গুটিয়ে লঞ্চে ফিরতে ফিরতে অন্ধকার নেমে আসত নদীর বুকে। অন্ধকারে সেই লঞ্চে নদী পারাপারের অভিজ্ঞতাও রোমাঞ্চকর। মাঝে মাঝে তা আটকে যেত খাঁড়িতে। ঝড়ঝঞ্ঝার সম্মুখীনও হতে হয়েছে।

ব্রাজ়িলের সাও পাওলোতেও কিছু দৃশ্যের শুট হয়েছে। সেখানেও ঘুরেছেন অভিনেতারা। বিশেষত ব্রাজ়িলে অপেরা দেখার কথা উল্লেখ করলেন শুভাশিস। টাইট শুটিং শিডিউলের কারণে খুব বেশি ঘোরার সুযোগ হয়নি। তবে খালি হাতে নয়, দেশে ফিরেছেন ব্রাজ়িলের কফি নিয়ে। একবার নয়, দু’বার...

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy