দেখতে দেখতেই এক বছরে পা ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’র
ধারাবাহিক ‘ধুলোকণা’র সেটে বৃহস্পতিবার উৎসব। এক দিনে ‘বাংলা সেরা’র তকমা, বর্ষপূর্তির আনন্দ। এক বছর আগে এই দিনেই ছোট পর্দার দর্শকদের লীনা গঙ্গোপাধ্যায়-শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় উপহার, লালন-ফুলঝুরির রসায়ন। লীনার হাত ধরেই চার বছর পরে ছোট পর্দায় আবার ইন্দ্রাশিস রায় ওরফে লালন। কতটা আনন্দে মেতেছেন টিম ‘ধুলোকণা’?
জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পর্দার ‘লালন’, ‘ফুলঝুরি’ ওরফে মানালি দে, ‘অঙ্কুর’ ওরফে তথাগত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। নায়িকা ফোন তুলতেই ওপারে উচ্ছ্বসিত কলরব। সেই উচ্ছ্বাস মানালির গলাতেও। বললেন, ‘‘দ্বিগুণ আনন্দ সবার। সেটে আজ কাজ হচ্ছে। কেক কাটাও হচ্ছে। আজ সবাই নেই। তাই আজকের খাওয়া দাওয়া অন্য দিন হবে। বিশেষ দিনে রেটিং চার্টে সেরা আমরাই।’’ খবর, কেক নাকি ইন্দ্রাশিস খাওয়াচ্ছেন? মানালির দাবি, পর্দা মতোই সেটেও টিম ধুলোকণা একটা পরিবার। তাই রোজ এক জন করে খাওয়ানোর দায়িত্বে আছেন। বিশেষ দিনে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কেক পাঠিয়েছেন। সেটি কাটা হয়েছে। সঙ্গে মিষ্টিমুখ। পরের দিন হয়তো ইন্দ্রাশিসের উপরে খাওয়ানোর দায়িত্ব বর্তাবে। এ বার কি লালন-ফুলঝুরি একসঙ্গে গানের দুনিয়ায় পথ চলবে? মানালির মতে, সবটাই লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে। তিনি চাইলে দর্শকেরা সেটাও দেখতে পাবেন।
এই প্রথম রেটিং চার্টে অনেকটা পিছিয়ে ‘মিঠাই’। পঞ্চম স্থানে জি বাংলার ৫৪ বারের ‘বাংলা সেরা’ ধারাবাহিক। অথচ, প্রথম দিন থেকে ‘উচ্ছেবাবু’ ওরফে আদৃত রায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইন্দ্রাশিস। টেলিপাড়ায় এমনটাই খবর। কথাটা পাড়তেই ‘লালন’-এর দাবি, ‘‘আমি আজও আদৃতের প্রশংসা করছি। ধারাবাহিকের প্রশংসা করছি। অতিমারির সময় আমি আর মা পাশাপাশি বসে ‘মিঠাই’-এর ট্রেলার দেখেছিলাম। তখনই বলেছিলাম, ধারাবাহিক হিট করবে। আমার কথা ফলেছে। রেটিং চার্টে ওঠাপড়া তো প্রতি সপ্তাহের ব্যাপার। নম্বর দেখে কোনও ধারাবাহিককে বিচার করা উচিত নয়।’’ ‘মিঠাই’ ভক্তদের ‘ধুলোকণা’র দলে টানতেই কি এই কৌশল? শুনেই হেসে ফেলেছেন ছোট পর্দার নায়ক। দাবি, এত সহজে কারও থেকে কিচ্ছু কেড়ে নেওয়া যায় না।
লালন-ফুলঝুরির বিয়েকেই পয়মন্ত বলছেন সবাই। এই টানেই নাকি বিশেষ দিনে ‘বাংলা সেরা’ ধারাবাহিক। সেই বিয়ের অনুঘটক ‘অঙ্কুর’ ওরফে তথাগত। যার জেরে তাঁর বিশেষ নাম ছোট পর্দার ‘রঞ্জিত মল্লিক’! কী বলছেন তিনি? দিনের প্রথম ভাগে ‘পরিচালক’ তথাগত আগামী ছবি ‘ভটভটি’-র পোস্ট প্রোডাকশন নিয়ে ব্যস্ত। দ্বিতীয় ভাগে ‘অভিনেতা’ তথাগত শ্যুটিংয়ে। ‘‘সেটে এসেই দেখলাম সবার মুখ ঝলমলে। খুব ভাল লাগল। পুরো কৃতিত্ব লীনাদি, শৈবালদার। যাঁরা এক বছরে একটি ধারাবাহিককে শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছেন’’, দাবি অভিনেতার। এও জানিয়েছেন, একই ভাবে লীনার ‘মোহর’ ধারাবাহিকও টানা ছ’মাস বাংলা সেরার আসন দখল করে রেখেছিল। প্রত্যেকে এক জোট হয়ে কাজ করলে তবেই এই ফল ফলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy