অনীক দত্ত এবং তরুণ মজুমদার।
‘অপরাজিত’ দেখে মুগ্ধ তরুণ মজুমদার। ছবি দেখে বেশ কিছু ক্ষণ স্তব্ধ তিনি। একই সঙ্গে ভীত বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে। পরিচালক অনীক দত্তকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘নিজেই জানেন না, আপনি কী করেছেন! চলচ্চিত্র দুনিয়ায় আপনার অবদান যে কত খানি একদিন বুঝবেন। আপনার প্রতি আমার অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।’’ বর্ষীয়ান পরিচালকের আরও আর্জি, এই ছবি সব শ্রেণির দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। নিম্নবিত্তদের মধ্যেও। তাই যে করেই হোক ‘অপরাজিত’ যেন নন্দনে দেখানো হয়। তার পরেই তাঁর শঙ্কা, বাংলা ছবির সীমানা ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। শহর আর শহরতলির মধ্যে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। আগমী দিনে হয়তো শুধু উত্তর কলকাতার জন্যও ছবি বানানো হবে!
‘অপরাজিত’ দেখতে দেখতেই ‘পলাতক’ ছবির পরিচালক ফিরে গিয়েছেন ‘পথের পাঁচালী’র সময়ে। ছবি-মুক্তির প্রথম দিনের শেষ শো-তে প্রেক্ষাগৃহে দেখেছিলেন সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ছবি। পরের দিন সবাই মিলে প্ল্যাকার্ড হাতে নীরব পদযাত্রা করেছিলেন। সে দিন কাগজের উপরে আলতা দিয়ে ছবির হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন তরুণ এবং তাঁর বন্ধুরা। আফসোসও জানিয়েছেন, একুশ শতকে সেই বাংলা ছবিই আর আগের মতো সব স্তরে ছড়িয়ে পড়তে পারছে না। গণ্ডি ছোট হতে হতে কোনও দিন হয়তো দেশপ্রিয় পার্কের লোকেদের জন্য আলাদা ছবি তৈরি হবে।
তরুণ মজুমদারের কথায়, উচ্চবিত্তরা একটি ছবি দেখে এক রকমের মতামত প্রকাশ করেন। মধ্যবিত্তরা আর এক রকম। নিম্নবিত্ত, গ্রামের কৃষক বধূ আরও এক রকম। একটি ছবি তাই সবার দেখা দরকার। অধ্যাপক থেকে অতি সাধারণ দর্শকের। তবেই ছবির সঠিক মূল্যায়ন হবে। লোকমুখে প্রচারিতও হবে। আপ্লুত অনীক দত্তও। প্রেক্ষাগৃহে এসে তাঁর ছবি দেখে তরুণ মজুমদার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন! এ তাঁর ভাবনারও অতীত।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy