নতুন কাজ নিয়ে আড্ডায় শ্বেতা ভট্টাচার্য।
৬ জুলাই ‘প্রজাপতি’র শ্যুট। তার আগেই নিখোঁজ দেবের নায়িকা! ডুয়ার্সে পাহাড়ি পথের বাঁকে নাকি পাখা মেলে উড়ছেন। আনন্দবাজার অনলাইন হদিশ পেতেই ফোনে নতুন কাজ নিয়ে আড্ডায় শ্বেতা ভট্টাচার্য।
প্রশ্ন: বাবা-ছেলের গল্প নিয়ে ‘প্রজাপতি’। দেবের নায়িকার ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
শ্বেতা: বাবা-ছেলের গল্প হলেও ছবিতে নায়িকার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। সেই জন্যই রাজি হয়েছি। গল্পটাও অন্য রকম। শুনেই ভাল লেগেছে। তা ছাড়া, বিপরীতে দেবদা। আর অভিনেতার কাছে ছোট-বড় সব ধরনের কাজই গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছেও তাই।
প্রশ্ন: ছবিতে তারকার ঝাঁক। মিঠুন চক্রবর্তী, মমতাশঙ্কর, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভয় করছে?
শ্বেতা: এঁদের মধ্যে মমতাশঙ্করের সঙ্গে আগে কাজ করেছি। ধারাবাহিক ‘ভালবাসা.কম’-এ আমার দিদিশাশুড়ি হয়েছিলেন। বাকিদের সঙ্গে কাজ করিনি। একটু তো ভয় লাগছেই। উৎসাহেও ফুটছি। নতুন কাজ, নতুন অভিনেতা মানেই নতুন অভিজ্ঞতা। সেখানে মিঠুন ‘আঙ্কেল’, দেবদা তো উপরি পাওনা। খুব খুশি।
প্রশ্ন: দেবের প্রেমিকা, বৌ হওয়ার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
শ্বেতা: (হেসে ফেলে) দেবদার প্রেমিকা, এটা জানি। বৌ হব আদৌ? গায়ে কি প্রজাপতি বসবে? এ সব ছবি বলবে। (তার পরেই সাফ জবাব) অভিনয় করতে ভালবাসি তো। বিশেষ কোনও তারকার সঙ্গে অভিনয় করতে পারলেই ধন্য হয়ে যাব, এই ব্যাপারটা আমার নেই। দেবদা অবশ্যই ‘সুপারস্টার’। তাঁর সঙ্গে কাজের সুযোগ পাওয়ায় আমিও আপ্লুত। তবে তার জন্য আলাদা কোনও প্রস্তুতি নেই। আমি চরিত্রটিকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিচ্ছি। যাতে সেরাটা দিতে পারি। প্রতি মুহূর্তেই আমার নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই চলে।
প্রশ্ন: ছোট্ট আফসোস, বিপরীতে কোনও ভাবে যদি মিঠুন চক্রবর্তী থাকতেন?
শ্বেতা: আফসোস কেন! দেবদার সঙ্গে পর্দায় যদি বিয়েটা হয়েই যায় তা হলে মিঠুন আঙ্কল আমার শ্বশুরমশাই। এই বা কম কী? তা ছাড়া, মিঠুন চক্রবর্তীর নায়িকা হওয়ার যোগ্যতা, বয়স কোনওটাই আমার নেই। আমার কোনও আফসোস নেই।
প্রশ্ন: পরিচালক অভিজিৎ সেনও জি বাংলার। আপনার ‘কমফোর্ট জোন’?
শ্বেতা: এটা ঠিক কথা। অভিজিৎদার সঙ্গে অনেক দিনের চেনা। খুব ভাল মানুষ। খুব ভাল পরিচালক।
প্রশ্ন: অভিনয়ের আগেই আপনার নাকি একাধিক আপত্তি? ছোট পোশাক, হাতাকাটা জামা পরবেন না। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেও অভিনয় করবেন না!
শ্বেতা: আসলে শ্বেতা খুব স্পষ্টবক্তা। স্পষ্ট ভাবে আগেই নিজের সুবিধে-অসুবিধে জানিয়ে দিই। তবে এই ছবির ক্ষেত্রে একটু ভুল বার্তা গিয়েছে। শুধুই ‘প্রজাপতি’র ক্ষেত্রে নয়, আমার আপত্তিগুলো সব ছবির ক্ষেত্রেই। পোশাক নিয়ে আমার ছুঁৎমার্গ নেই। তা বলে পর্দায় নায়িকাকে হট প্যান্ট পরতেই হবে— এটাও মানি না। যেটা পরে আমি স্বচ্ছন্দ নই সেই পোশাকে কী করে ভাল অভিনয় করব? সারা ক্ষণ মাথায় ঘুরবে পোশাকের ফাঁক দিয়ে হয়তো আমার শরীর দেখা যাচ্ছে।
প্রশ্ন: এতে বড় পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ কমবে না তো?
শ্বেতা: দর্শকেরা তো আমার অভিনয় দেখতেই প্রেক্ষাগৃহে আসবেন। নাকি আমার সাজপোশাক! আমি তো কোনও ফ্যাশন শো-তে অংশ নিচ্ছি না! পোশাকের সৌজন্যে অভিনয়টাই যদি ঠিক মতো করতে না পারলাম তা হলে রইল কী? আমার মনে হয় দর্শকেরাও সাজসজ্জা থেকে অভিনেতার অভিনয়কেই বেশি গুরুত্ব দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy