ফাইল চিত্র।
‘শ্রীমতী’রা কি সত্যিই স্বাধীন নন? একুশ শতকেও তাঁরা স্বাধীন মতামত দেওয়ার যোগ্য নন? শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডায় এই প্রশ্ন বড় পর্দার ‘শ্রীমতি’ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের।
অভিনেত্রীর নতুন ছবি মুক্তি পাবে ৮ জুলাই। অর্জুন দত্তের পরিচালনায় তিনি ছিমছাম গৃহবধূর চরিত্রে। যিনি সংসারে নিবেদিতপ্রাণ। ঠিক যেমন, মা-মাসিমা, দিদা বা ঠাকুমারা ছিলেন। সংসারের খুঁটিনাটি যাঁদের নখদর্পনে থাকত। ঘরে থেকেও প্রচণ্ড বুদ্ধিমান তাঁরা। নিজের মতো করে স্বপ্ন দেখতে আর সেগুলো পূরণ করতে ভালবাসতেন।
নিজের চরিত্র নিয়ে বলতে গিয়েই স্বস্তিকার দাবি, এঁদের নিয়েও ছবি হওয়া উচিত। এঁদের জীবনও উঠে আসা উচিত পর্দায়। ঘরোয়া মেয়েদের কথা বলতে গিয়ে স্বস্তিকা যেন সামান্য উত্তেজিত। সমাজের কাছে তাঁর পাল্টা প্রশ্নের ঝড়- ‘‘নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলব। অথচ সংসারী মেয়েদের কথা ব্রাত্য থেকে যাবে! কেন? তাঁরা উপার্জন করেন না বলে? ঘরের বাইরে পা কম রাখেন বলে? আলোচনা বা বিতর্ক সভায় সত্যিই কি তাঁরা কথা বলার অযোগ্য? তাঁরা কি আক্ষরিক অর্থে অশিক্ষিত? এ ভাবেই কি নারী স্বাধীনতার বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে?’’
অভিনেত্রীর আরও বক্তব্য, নারী স্বাধীনতা, নারী শক্তি বা লিঙ্গসমতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংসারী মেয়েদের কথা বলতেই হবে। নইলে প্রমাণিত হবে, আগের বা তারও আগের প্রজন্মের নারীরা সত্যিই দুর্বল ছিলেন। তাঁরা পরাধীন ছিলেন। এখনও যাঁদের উপার্জন নেই,ধরে নেওয়া হয় তাঁরা আদতে অযোগ্য।
স্বস্তিকার মতে, কেবল অর্থনৈতিক স্বাধীনতাই এক জন নারীকে শক্তিশালী বানাতে পারে না, স্বাধীনতাও এনে দিতে পারে না। যাঁরা বাইরে বেরোন, তাঁরাও অনেক ক্ষেত্রে কারও উপরে নির্ভরশীল। অর্থাৎ, উপার্জন করলেই স্বাধীন হওয়া যায় না।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy