স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সেই বিতর্কিত ছবি। সৌজন্য- ইনস্টাগ্রাম
টলি ইন্ডাস্ট্রিতে বরাবরই ‘ঠোঁট কাটা’ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের। এ জন্য বহুবার নানা বিতর্কেও জড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের মতামত খোলাখুলি বলতেই পছন্দ করেন ওই অভিনেত্রী।
এর প্রমাণ মিলল আরও একবার। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে রবিবার নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন স্বস্তিকা। গায়ে কালো রঙের কুর্তি, গলায় আফগানি হার, চোখে রোদচশমা। গাঢ় বেগুনি রঙের লিপস্টিক পরে পাউটের ভঙ্গিমায় সেলফি তুলছেন অভিনেত্রী। হঠাৎই স্বস্তিকার পোস্টে একজন মন্তব্য করেন, ‘যৌনকর্মীর মতো লাগে।’ ওই কমেন্টে স্বস্তিকার ফ্যানেরা বেজায় চটে গেলেও, ঠান্ডা মাথায় গোটা ঘটনা সামাল দেন স্বস্তিকা।
সেই বিতর্কিত মন্তব্যের থ্রেড
স্বস্তিকার জবাব: ‘আমি যৌনকর্মীদের ভালবাসি। ওঁরাও সমাজের অংশ, তাই না? সমাজের যত নোংরা নিজের শরীর দিয়ে পরিষ্কার করেন ওঁরা। তা না হলে সেই নোংরা আমার আপনার মতো ভদ্রলোকের বাড়িতে এসে ঢুকে পড়ত।’ স্বস্তিকার মতে, মাঝে মাঝে ওই সব মানুষের ‘স্টাইল’ অনুকরণ করা উচিত। তিনি লেখেন,‘ওঁদের একটু সম্মান দিলে সম্মান কমবে না। বেশ্যারাও মানুষ। আর আমি ওঁদের ভালবাসি। যৌনকর্মীদের স্টাইলকে আমার স্যালুট। আমি গর্বিত আমাকে ওঁদের মতো দেখতে লাগছে।’
আরও পড়ুন- ভূত তাড়াতে আসছেন কার্তিক আরিয়ান ! সামনে এল ‘ভুলভুলাইয়া ২’–এর ফার্স্ট লুক
স্বস্তিকার ওই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে রাতারাতি প্রশংসার ঝড় ওঠে। কেউ লেখেন, ‘যে ভাবে তুমি পুরো ঘটনা সামাল দিলে তা সত্যি অসাধারণ’। অনেকেই তাঁকে তারিফ করেছেন। পরে স্বস্তিকা এই সব মন্তব্য তাঁর পোস্ট থেকে সরিয়ে দিলেও তার আগেই কমেন্ট-সহ ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
তবে শুধু মাত্র ওই ফলোয়ারই নন। আরও বেশ কিছু ফলোয়ারের বিরূপ মন্তব্যের জবাবও ঠাণ্ডা মাথাতেই দিয়েছেন স্বস্তিকা।
এই প্রসঙ্গে স্বস্তিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় পরে আবার বিবৃতি দিয়েছেন। লিখেছেন,‘ আমি কোনও পোস্ট ডিলিট করিনি। কারণ তার কোনও প্রয়োজন আমার নেই। যে মহিলা মন্তব্য করেছেন যে, আমাকে যৌনকর্মীর মতো দেখতে লাগছে, তিনি নিজেই পোস্টটি ডিলিট করেছেন।’
স্বস্তিকা আরও লিখেছেন, মেরুদণ্ডহীন হয়ে থাকার তাঁর কোনও ইচ্ছে নেই। ‘আমি ন্যাকা নই। আর সারাক্ষণ ডিপ্লোম্যাসি করে আর পলিটিক্যালি কারেক্ট হয়ে মেরুদণ্ডহীন একটা অপদার্থ হয়ে বেঁচে থাকার কোনও অভিপ্রায় আমার নেই।’ বলছে স্বস্তিকার সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy