সুশান্তর কথা মনে পড়ে যাচ্ছে শাশ্বত এবং স্বস্তিকার।
চলে যেতে হয়েছিল তাকে। দুরারোগ্য রোগের সঙ্গে লড়াইটা জিততে পারেনি ইম্যানুয়েল রাজকুমার জুনিয়র ওরফে ম্যানি।
এ ভাবেই চিত্রনাট্যের সঙ্গে মিলে গিয়েছিল অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের জীবন। পর্দার ম্যানির মতো জীবনের মাঝপথেই সব ফেলে রেখে চলে যাওয়া ছেলেটাকে তাঁর জন্মদিনে নতুন করে মনে করলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। খাতায়-কলমে অভিনেতার শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’র দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন তাঁরা। সেই স্মৃতিগুলোই আজ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মনে পড়ে যাচ্ছে অনস্ক্রিন মিস্টার এবং মিসেস বসুর।
পর্দায় এবং বাস্তবে সুশান্তের চলে যাওয়ার ব্যথাটা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে বাংলার দুই শিল্পীর কাছে। অতীত হাতড়ে তাঁর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছে তাঁদের। মন খারাপের আঁচ এসে পড়েছে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালেও।
মন স্থির রাখতে পারছেন না স্বস্তিকা। স্মৃতির পাতা উল্টে ২০১৫-র কোনও একটা দিনে গিয়ে থেমেছেন অভিনেত্রী। ‘ডিটেক্টিভ ব্যোমকেশ বক্সী’র প্রমোশন থেকে একটি সেলফি পোস্ট করলেন তিনি। জানালেন, সুশান্ত নিজেই কাজের ফাঁকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন সেই মুহূর্ত। সুশান্তের তোলা বলেই কি সেই ছবি এত প্রিয় স্বস্তিকার?
অন্য দিকে, ‘মিস্টার বসু’র আকাশেও আজ মন খারাপের মেঘ। যে মেঘ ভেঙে বৃষ্টি এসে হঠাৎ এক রাতে ভিজিয়ে দিয়েছিল তাঁদের। শাশ্বতর আজ মনে পড়ছে, কাজের ফাঁকে বারবার সুশান্তের জড়িয়ে ধরা, একসঙ্গে বিয়ার খাওয়ার শট দেওয়া। ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে সেই মুহূর্তগুলোর কোলাজেই বার্থডে বয়কে স্মরণ করলেন তিনি।
কখনও শ্যুটিংয়ের ফাঁকে ক্রিকেট, কখনও বা আরও অন্য স্মৃতি— সারা দিন ধরে মিলেমিশে ফিরে এসেছে শাশ্বত এবং স্বস্তিকার কাছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা সেই কথাই মনে করেছেন, অনুরাগীদের মনে করিয়েছেন এ দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy