সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়।
টলিউডে এখনও বছর ঘোরেনি। কিন্তু এসে চলেছে একের পর এক কাজ। ইনস্টাগ্রামেও লাফিয়ে বাড়ছে অনুরাগীর সংখ্যা। ‘প্রেম টেম’ সেরে ‘মারাদোনার জুতো’ পায়ে গলিয়ে সোজা ‘খেলা যখন’-এর সেটে অভিনেত্রী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। তবুও সব ব্যস্ততা সামলে নেটমাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে আড্ডায় মজেছিলেন টালিগঞ্জের নবাগতা অভিনেত্রী। নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরির মাধ্যমে। সেখান থেকেই উঠে এল অজানা তথ্য।
বিয়েতে আস্থা নেই সুস্মিতার। ‘প্রেম টেম’ ছবিতে তাঁর চরিত্র রাজির মতোই ‘লিভ ইন’ অর্থাৎ সহবাসে বিশ্বাস করেন অভিনেত্রী। কারণ জানতে চাইলে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, “বিয়ে মানে একে অপরের সঙ্গে থাকার সার্টিফিকেট। আমার মনে হয় বিয়ের পর একজনের প্রতি অন্য জনের টান ক্রমশ কমতে থাকে। দায়িত্ব বেড়ে যায় বলেই হয়তো এ সব হয়। তাই আমি বিয়ে করতে চাই না।”
বিয়ে করলে একে অপরের উপর যে অধিকার বোধ জন্মায়, সেখান থেকেই আরও বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয় বলে মনে করেন অভিনেত্রী। প্রথম ছবির চরিত্র থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েই কি এমন সিদ্ধান্তে আসা? “না না। ‘প্রেম টেম’ করার আগে থেকেই আমি এ রকম ভাবি। আর রাজি কিন্তু লিভ ইন করে পালিয়েও গিয়েছিল। সুস্মিতা তার ভালবাসার মানুষকে ছেড়ে কোথাও যাবে না”, হেসে উঠলেন অভিনেত্রী।
‘প্রেম টেম’-এর কাজ শেষ হতেই মৈনাক ভৌমিকের ওয়েব সিরিজ ‘মারাদোনার জুতো’-র শ্যুট সেরে ফেলেছিলেন সুস্মিতা। এর পরেই পরিচালক অরিন্দম শীল তাঁর নতুন ছবি ‘খেলা যখন’-এর জন্য বেছে নেন সুস্মিতাকে। নিন্দুকেরা বলে, ইন্ডাস্ট্রিতে ‘বন্ধুত্ব’ পাতিয়ে একের পর এক কাজ হাসিল করছেন নতুন অভিনেত্রী। ছাপিয়ে যাচ্ছেন তাঁর সমসাময়িকদের। অথচ সুস্মিতার দাবি, এতগুলো মাস কাটিয়েও এখনও টলিপাড়ার কারও সঙ্গেই সে ভাবে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি তাঁর। ইনস্টাগ্রামের প্রশ্নোত্তর পর্বে এক অনুরাগী জানতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী ‘ক্লাবিং’ (ক্লাবে গিয়ে আনন্দ করা) করতে ভালবাসেন কিনা। সুস্মিতা লিখেছিলেন, ‘আমি ক্লাবিং একদম পছন্দ করি না।’
অভিনেত্রীর কথায়, “এই পার্টি করা, ক্লাবিং করা আমার একদম ভাল লাগে না। আমি এখনও পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রির কারও সঙ্গে এক কাপ কফি খেতেও কোথাও গেলাম না। কারও সঙ্গে সে ভাবে বন্ধুত্বই তৈরি হয়নি।” সুস্মিতা মনে করেন, নিজের কাজ ভাল করে করলেই কাজের অভাব হবে না। ইন্ডাস্ট্রিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ‘বন্ধু’ পাতানোর তত্ত্বে বিশ্বাসী নন তিনি। “আমি এখানে কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব না করেও কাজ পেয়েছি। আমার থেকে অনেক প্রতিভাশালী অভিনেত্রী থাকা স্বত্ত্বেও আমি কাজের সুযোগ পাচ্ছি। এই খারাপ সময়েও বসে থাকতে হয়নি”, উচ্ছ্বাস অভিনেত্রীর কণ্ঠে।
পেশাগত জীবনের শুরুতেই কাজ করে ফেলেছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, মৈনাক ভৌমিক, অরিন্দম শীলদের মতো পরিচালকদের সঙ্গে। প্রশংসিত হয়েছেন দর্শকমহলেও। কিন্তু কটাক্ষ পিছু ছাড়েনি অভিনেত্রীর। ইতিমধ্যে তাঁর নামে একাধিক ‘ফ্যান পেজ’ তৈরি হলেও ইনবক্সে ধেয়ে আসছে নানা ধরনের কুমন্তব্য। সুস্মিতা বললেন, “অনেকেই ইনবক্সে আমার চেহারা নিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলে। উপদেশ দেয়, চেহারা আরেকটু ভরাট করো, না হলে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাবে না।”
আপাতত একের পর এক কাজ নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী। ট্রোল-কটাক্ষ নিয়ে ভাবার সময় নেই তাঁর। ‘খেলা যখন’-এর শ্যুট সেরে নিজেক প্রস্তুত করবেন অন্য নানা কাজের জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy