প্রতি দিন সেটে আসছেন ওইটুকু ঘুমিয়ে? কিয়ারা তাজ্জব। অবাক হয়ে দেখতেন সুশান্তকে। -ফাইল চিত্র
রাতে ঘুম আসত না। দিনে দু’ঘণ্টার বেশি ঘুমোতেন না সুশান্ত সিংহ রাজপুত। অথচ কেউ কখনও তাঁকে ক্লান্ত দেখেনি। অফুরন্ত প্রাণশক্তি নিয়ে ঝলমল করতেন শুটিংয়ে। ২০২০ সালে সুশান্তের প্রয়াণের পর কথাটা ফাঁস করেছিলেন ‘এম এস ধোনি: দ্য স্টোরি আনটোল্ড’ ছবির সহ-অভিনেত্রী কিয়ারা আডবাণী। জানিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ অনিদ্রার রোগে ভুগতেন।
কিয়ারার কথায়, “শুটিং শেষ হতে হয়তো অনেক রাত হয়েছে, আমার ঘুম পাচ্ছে, ক্লান্তি আসছে। সুশান্তের তখন ক্লান্তির লেশমাত্র নেই। আমি ওকে জিজ্ঞাসা করতাম, ঘুম পায় না? ও হাসিমুখে বলত, এত ঘুমোতে লাগে না ওর।”
এ দিকে কিয়ারা শুনে এসেছেন দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। কিন্তু সুশান্তকে দেখে সব হিসাব গুলিয়ে যেত। ‘কেদারনাথ’-এর অভিনেতা তাঁকে বলেছিলেন, “মানুষ মাত্র ২ ঘণ্টা ঘুমোলেই যথেষ্ট। বাকি সময় তোমার মস্তিষ্ক জেগেই আছে। গাঢ় ঘুম হোক বা পাতলা, মন তোমার সক্রিয় থাকে। তাই আমি শুধু ওই ২ ঘণ্টাই ঘুমোই।”
সেই শুনে কিয়ারা তাজ্জব। অবাক হয়ে দেখতেন সুশান্তকে। প্রতি দিন সেটে আসছেন ওইটুকু ঘুমিয়ে। কোনও অসুবিধা হত না তাঁর। ব্যাপারটা সাধারণ বলে মনে হত না ‘কবীর সিংহ’-র নায়িকার। সুশান্ত তাঁকে সব সময় অনুপ্রেরণা জোগাতেন।
তবু নিজের জীবনে দাঁড়ি টেনে দিয়েছিলেন অভিনেতা। ১৪ জানুয়ারি, ২০২০ সালে তাঁর দেহ মিলেছিল বান্দ্রার আবাসনে। সে দিনের বিভীষিকা দূরে রেখে ২১ জানুয়ারি, সুশান্তের জন্মদিনকেই মনে রাখতে চান সতীর্থরা। তাঁর সঙ্গে সুখস্মৃতির বিভিন্ন মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন বোন প্রিয়ঙ্কা সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy