Sushant Singh Rajput’s Passion Was Astronomy and the Cosmic World dgtl
bollywood
চাঁদে কেনা জমির ‘দেখভাল’ করতেন অত্যাধুনিক টেলিস্কোপে চোখ রেখে
মহাজাগতিক জগতের সঙ্গে ‘ওম’ শব্দের আত্মিক সম্পর্ক খুঁজে পেতেন পরম শিবভক্ত এই অভিনেতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২০ ১৫:৪৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৯
বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র থেকে হয়ে উঠেছিলেন রুপোলি জগতের এক জন। অভিনয় ছাড়াও রুপোলি রেখাকে নিজের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। চাঁদের মাটিতে জমি কিনেছিলেন তিনি।
০২১৯
লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরার অবসরে তাঁর সময় কাটত আকাশের চাঁদ-তারাদের সঙ্গেই।
০৩১৯
চাঁদের চিরঅন্ধকার দিকটি, অর্থাৎ যে অংশটি সব সময় পৃথিবীর বিপরীত দিকে থাকে, সেই দিকে ‘মেয়ার মাস্কোভিয়েন্স’ বা ‘সি অব মাসকোভি’ অংশে জমি কিনেছিলেন সুশান্ত।
০৪১৯
ইন্টারন্যাশনাল লুনার ল্যান্ডস রেজিস্ট্রি-র কাছ থেকে এই জমি কিনেছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা। ২০১৮-র ২৫ জুন তাঁর নামে ওই চান্দ্র ভূখণ্ড নথিভুক্ত হয়।
০৫১৯
তবে আন্তর্জাতিক চুক্তি ও নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবীর বাইরে কোনও মহাজাগতিক অংশ কারও আইনি সম্পত্তি হতে পারবে না।
০৬১৯
বলিউডে সুশান্ত-ই প্রথম নায়ক, যিনি চাঁদের জমি কিনেছেন। শাহরুখ খানকে চাঁদে এক খণ্ড জমি উপহার দিয়েছেন তাঁর অনুরাগী।
০৭১৯
রাতের আকাশের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল পদার্থবিজ্ঞানের এই মেধাবী ছাত্রের। তাঁর কাছে ছিল অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ। সময় পেলেই চোখ রাখতেন তারাদের সংসারে। ভক্তরা মজা করে বলতেন, সুশান্ত নাকি ওই ভাবে চাঁদের মাটিতে নিজের জমি দেখভাল করতেন!
০৮১৯
মহার্ঘ্য টেলিস্কোপ হাতে পেয়ে খুশি হয়েছিলেন বাচ্চা ছেলের মতোই। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন, ‘‘এটা বিশ্বের আধুনিকতম টেলিস্কোপের মধ্যে অন্যতম। এ বার বাড়ি থেকেই শনিগ্রহের বলয় দেখতে পাব।’’
০৯১৯
টেলিস্কোপে চোখ রেখে সময়-সফর করতেন সুশান্ত। শনির বলয়, বৃহস্পতির চাঁদ পেরিয়ে পাড়ি দিতেন অন্তহীন ছায়াপথ বেয়ে।
১০১৯
পথ হারিয়ে সেই ছায়াপথ জানালা দিয়ে ঢুকে পড়ত পর্দার এম এস ধোনির ঘরেও। তাঁর ঘরের দেওয়ালে আঁকা ছিল চাঁদে মানুষের প্রথম পা রাখার ছবি। কোনও এক দেওয়ালে ছিল অন্য মহাকাশ অভিযানের ছবি। দেওয়ালের গ্রাফিতিতে ধরা দিতে চাঁদের ষোলো কলাও।
মহাজাগতিক জগতের সঙ্গে ‘ওম’ শব্দের আত্মিক সম্পর্ক খুঁজে পেতেন পরম শিবভক্ত এই অভিনেতা।
১৩১৯
জীবনকে আকণ্ঠ পান করে ভালবাসতেন স্বপ্নের উড়ানে পাড়ি দিতে। তিনি কিনেছিলেন দুর্মূল্য ফ্লাইট স্টিমুলেটর। সাধারণত এই স্টিমুলেটর পাইলটদের প্রশিক্ষণের কাজে লাগানো হয়।
১৪১৯
গতির নেশা ছিল পথেও। তাঁর কাছে ছিল মূল্যবান বিএমডব্লু কে ১৩০০ আর মোটরসাইকেল। পছন্দের বাহন ছিল বিলাসবহুল স্পোর্টসকার মাসেরাতি কোয়াত্রোপোর্তে এবং ল্যান্ডরোভার রেঞ্জ রোভার এসইউভি।
১৫১৯
শোনা যায়, ছবি পিছু তাঁর পারিশ্রমিক ছিল পাঁচ থেকে সাত কোটি টাকা। সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৯ কোটি টাকা। উপার্জনের বেশির ভাগই তিনি ব্যয় করতেন নিজের স্বপ্নছোঁয়ার প্রয়াসে।
১৬১৯
মহাকাশচারী, পাইলট হওয়ার স্বপ্ন থেকে পথ ভুলে চলে এসেছিলেন অভিনয়ে। মায়ের মৃত্যুর পরে ছন্নছাড়া জীবনে আঁকড়ে ধরেছিলেন নতুন প্যাশনকেই। বলিউডের প্রতিযোগিতার ইঁদুরদৌড়েও ভাটা পড়ল না স্বপ্নসন্ধানে। তাই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলও ছিল বাকি তারকাদের থেকে আলাদা।
১৭১৯
কখনও সেখানে থাকত কম্পিউটার কোডিং শেখার প্রয়াস।
১৮১৯
বেশির ভাগ সময়েই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল শাসন করত সৌরজগতের পড়শিদের বিভিন্ন রূপ। চাঁদের পিঠে গহ্বর, নীলসবুজ পৃথিবী বা উজ্জ্বল কালপুরুষ আলোকবর্ষ পেরিয়ে আসা যাওয়া করে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলে।
১৯১৯
ক্যামেরা ও টেলিস্কোপের লেন্সের ঘেরাটোপ পিছনে ফেলে রেখে সুশান্ত সিংহ রাজপুত এখন নিজেই সব আলোকবর্ষ পেরিয়ে তাঁর স্বপ্নের জগতে।